Work form Home – কাজ পাচ্ছেন না, সংসারের চাপ আছে? বাড়ি বসে এই কাজ করে চাকরির সমান আয় করুন।

Work form Home বা বাড়িতে বসেই আয় করুন হাজার হাজার টাকা।

কাজের বাজার খুব খারাপ। কোথাও কোনো কাজ (Work form Home) নেই। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগাচ্ছে একশ্রেণীর কোম্পানি, সংস্থা বা ব্যবসায়ীরা। তারাও একেবারে ন্যূনতম মজুরি (Minimum Salary) দিয়ে উচ্চশিক্ষিত ছেলেমেয়েদের খাটিয়ে নিচ্ছে। সারাদিন প্রচুর পরিশ্রম করার পরে সামান্য যে কটা টাকাই মাসের শেষে পাওয়া যায়, সেই টাকা আবার সব সময় নিয়মিত মেলে না।

আর ছুটির তো কোনো বালাই নেই। যারা বেসরকারি সংস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন, তারা ছুটি নিলেই মাইনে কাটা। দেশ জুড়ে দুর্বিষহ অবস্থা সাধারণ মানুষের। হয়তো কোনোদিন এই কারণে একটা বিরাট বিদ্রোহ অপেক্ষা করছে। কারণ মানুষের সহ‍্যসীমা একেবারেই চরমে পৌঁছে গিয়েছে। কাজ নেই, টাকা নেই, বাজারে জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম, রান্নার গ্যাস কেনা যাচ্ছে না, চিকিৎসা ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে পরিষেবা নিতে হচ্ছে।

দেশজুড়ে শুধুমাত্র কতিপয় পয়সাওয়ালাদের জন্যই সমস্ত ব্যবস্থা। সে যাই হোক, এই পরিস্থিতির মধ্যেও ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে যারা বেকার বসে আছেন, বাড়িতে থেকে কিছু টাকা উপার্জন (Work From Home) করতে পারেন। সেই বিষয়েই Work form Home এর কয়েকটি পথ দেখানো হলো।

Content Writing

১. কনটেন্ট রাইটিং
এই মুহূর্তে ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে কন্টেন্ট রাইটিং করে অনেকেই ভালো পয়সা উপার্জন করছেন। তবে দেখে নিতে হবে, অনেকেই কথা দিয়েও কথা রাখেন না। হয়তো কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য কনটেন্ট রাইটিং করলেন, কিন্তু সঠিক সময়ে আপনাকে আর পারিশ্রমিক দেওয়া হলো না। সেই দিকটিও যাচাই করে নেবেন। কারণ সবদিকেই এখন জালিয়াতরা রয়েছে। কন্টেন্ট রাইটিং একটি ভালো পেশা। এই মুহূর্তে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ঘটনা, চাকরি, ব্যবসা, ট্রাভেল সম্পর্কিত কনটেন্ট লিখে মাসের শেষে Work form Home এর মাধ্যমে ১০-১২ হাজার টাকা আয় করা যায়।

Coaching Center

২. কোচিং সেন্টার
এই কাজটি আপনার বাড়িতে বসেও শুরু করতে পারেন। যদি বাড়িতে কিছুটা জায়গা থাকে তাহলে সেখানে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের টিউশন দিতে পারেন। তাতে মাসের শেষে যেমন একটা ভালো টাকা আয় করতে পারবেন, তেমনি আপনার পড়াশোনার দিকেও বিভিন্নভাবে জ্ঞান অর্জন হবে। তাছাড়া বাড়িতে গিয়েও কোচিং দেওয়া যায়। কোনো ঘর ভাড়া নিয়েও কোচিং সেন্টার খুলতে পারেন। এই মুহূর্তে তো শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, ঘর ভাড়া নিয়ে দু তিনজন শিক্ষক- শিক্ষিকা মিলে বিরাট কোচিং সেন্টার খুলে বসেছেন। দিনে তিনটে চারটে করে ব্যাচে তারা বহু ছাত্র-ছাত্রীকে পড়িয়ে টাকা উপার্জন করছেন।

Food Delivery

৩. ফুড ডেলিভারি
এখন তো মানুষের খাওয়ার ইচ্ছা হলো, আর স্মার্ট ফোন থেকে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে দিলেন। বহু ফুড ডেলিভারি কোম্পানি রয়েছে। যাদের অ্যাপে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট খাবারের অর্ডার দিলে একেবারে আপনার দোরগোড়ায় হাতে হাতে গরম গরম খাবার পৌঁছে যাবে। Zomato, Swiggy থেকে শুরু করে বহু ফুড ডেলিভারি অ্যাপ রয়েছে। ফুলটাইম বা পার্ট টাইমে এই ফুড ডেলিভারির কাজ করতে পারেন। এই মুহূর্তে ডেলিভারি বয় বা গার্লদের কাজের চাহিদা রয়েছে। খুব সহজেই মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা যায়। তবে হ্যাঁ, ফুড ডেলিভারি করতে গেলে আপনার সাইকেল বা মোটরসাইকেল থাকা প্রয়োজন।

মোবাইল রিচার্জ প্ল্যান (Mobile recharge Plans)

Work form Home Data Entry Jobs

৪. ডেটা এন্ট্রি অপারেটর
বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থায় ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা নিয়মিত গিয়ে কাজ করেন। ঠিক তেমনি আপনি বাড়িতে বসেও ডেটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন। অনলাইনে এরকম ডেটা এন্ট্রির বহু কাজ পাওয়া যায়। তবে খুব সতর্ক হয়ে এগোবেন। কারণ অনলাইনে ডেটা এন্ট্রির কাজ করার পরে বহু ক্ষেত্রে টাকা পয়সা দেওয়া হয় না। তাই প্রতারণার ফাঁদে পড়বেন না। কষ্ট করে ডেটা এন্ট্রির কাজ করলেন অথচ আপনাকে নির্দিষ্ট টাকা দেওয়া হল না। তাই সমস্ত কিছু যাচাই করে নিয়েই ডেটা এন্ট্রির কাজ করবেন। যদি ডেটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন তাহলে বাড়িতে বসেই (Work form Home) বিভিন্ন সংস্থার হয়ে এই কাজ করে একটা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন, প্যান কার্ড চালু নাকি বন্ধ, চেক করুন ঘরে বসে, জেনে নিন পদ্ধতি।

Related Articles

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button