প্রাইমারি টেট এর আবেদনে (Primary TET)

ইতিমধ্যেই প্রাইমারি টেট ২০২২ নিয়ে বেশ কয়েকটি নোটিস হয়ে হওয়া নিয়ে বেশ চিন্তিত পরীক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই ফর্ম ফিলাপে কোন রকম সংশোধনের সুযোগ এখনো অবধি না থাকার ফলে বেশ সমস্যার মধ্যে আছে বহু আবেদনকারী। আসুন জেনে নেই বিস্তারিত।

এবারের প্রাইমারি টেট নানা কারণেই বেশ চৰ্চিত।

পূর্বের নোটিস অনুযায়ী রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে চালু হয়েছে অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া। তবে বেশ কয়েকটি সংযোজনী নোটিস প্রকাশিত হয়েছে পরপর আর তাও আবার অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ শুরুর পর থেকেই। সুতরাং ইতিমধ্যেই যারা প্রাথমিক টেট পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন করে ফেলেছেন, তাদের মধ্যে অনেকেরই ভুল ধরা পড়ছে।

ম্যান্ডেটরি অংশেও ভুল করে ফেলেছেন অনেকেই। আর সেখানেই থাকে নিজেদের নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল আইডি ইত্যাদি। অনেকে আবার ভুল করে ফেলেছেন নিজেদের একাডেমিক বিষয়গুলি নিয়ে। এই নিয়ে বেশ ধ্বন্দে আছেন রাজ্যের পরীক্ষার্থীরা।

এই প্রাইমারি টেট এর বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি ডক্টর প্রফেসর গৌতম পাল মহাশয় বলেন এই, এই বিষয়ে তারা অবশ্যই ভেবে দেখবেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভুল না করাটাই কাম্য। বিশেষ সতর্কতা নিয়ে ফর্ম ফিলাপের পরামর্শ দেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গে TET – 2022 বন্ধের পথে। সবাই ঠিক হলে আসল ভুল কার? বিস্তারিত জানুন।

প্রাইমারি টেট ২০২২ এর পরীক্ষার আর বেশি সময় বাকিও নেই। এদিকে কলকাতার বুকে চলছে ধর্ণা, অনশন আর সাথে পুলিশি লাঠি চার্জ। এহেন পরিস্থিতিতে 2014 এবং 2017 সালের টেট পাস করা প্রার্থীদের মধ্যে বেশ যুক্তিগত ঝামেলার সৃষ্টি হয়। কেউ বা দিয়েছেন 2 বার ইন্টারভিউ আবার কেউ সুযোগই পায় নি।

পর্ষদ ইতিমধ্যেই প্রাইমারি টেট ২০২২ এর জেলাভিত্তিক শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেক্ষেত্রে দেখা গেছে জেলা ভিত্তিক শূন্যপদে বিস্তর ফারাক। অনেক জেলাতে শূন্যপদ খুবই কম থাকার ফলে ঐ জেলার পরীক্ষার্থীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কারণ, সিট যত কম হবে, প্রতিযোগিতাও ততই বাড়বে।

প্রাথমিক টেট এ কোন জেলায় কত শূন্যপদ, ফ্রেশ কত নিয়োগ, স্পেশাল ক্যাটাগরি কত, জেনে নিন।

তবে এই 11 হাজারের কিছু বেশি শুন্যপদের দাবিদার হিসেবে অনেকেই নিজেদের যুক্তিতে অনড়। তাদের মতে, কয়েক জনের ভুলে শাস্তি পেতে হচ্ছে প্রায় সকল হবু প্রাথমিক শিক্ষকদের। এমন আরো আপডেট খবর পাবার জন্য চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.