সরকারি ছুটি (Government Holiday)

রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য ছুটি ঘোষণা করল নবান্ন। রাজ্য সরকারের তরফে আগামী ৮ জুলাই সরকারি ছুটি (Government Holiday) ঘোষণা করা হয়েছে। কাদের জন্য এই ঘোষণা, কোনও কোন দপ্তরে থাকবে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে কি বলা হয়েছে জেনে নিন।

কাদের জন্য এই ছুটি?

৮ জুলাই সারা পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) ইতিমধ্যেই সেই পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে প্রত্যাহার পর্যন্ত সমস্ত প্রক্রিয়াই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার কর্মসূচি। যত দিন এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক দলের প্রচারের মাত্রা বাড়ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এর মধ্যেই আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের দাবিতে বিজেপি, কংগ্রেসের তরফে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে নির্বাচন হবে, সেই রায়েই সিলমোহর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আর এর পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, তা নিয়েও একটা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সেই জায়গায় আবার হাইকোর্টের তরফে বলা হচ্ছে বেশি পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে। পঞ্চায়েত ভোট রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) পরিচালনা করে। রাজ্য সরকারের পরিকাঠামোর ওপরেই নির্বাচন কমিশন নির্ভর করে থাকে।

সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিকবার আদালতের তরফে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এর আগে পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরাতেও পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। সেখানেও বহু হিংসার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেখানে আদালতের কোনো নির্দেশও আসেনি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিও দেখা যায়নি। সে যাই হোক, এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগামী ৮ জুলাই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে এনআই অ্যাক্টে ছুটি ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুন, ষ্টেট ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য দারুণ সুযোগ 10 লক্ষ টাকা পেতে পারেন।

নবান্নের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের অধীনে থাকা এলাকার সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সরকারি সংস্থা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিতে ছুটি থাকবে। যে সমস্ত অফিস বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভোটগ্রহণের কাজে ব্যবহৃত হবে, সেখানে এর সংখ্যা বেশি। ভোট দেওয়ার জন্য স্থানীয় স্তরেও ছুটি দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।

ভোটের আগে ২দিন ৬ এবং ৭ জুলাই ভোট গ্রহণের কাজে ব্যবহার হওয়া সেই সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতেও ছুটি দেওয়া হয়েছে। যাতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে (Polling Station) প্রস্তুতি সংক্রান্ত কাজ করা যায়।
সাধারণত শনিবার স্কুলগুলি হাফ ডে হয়ে থাকে। সরকারি বেশ কিছু অফিস ওই দিন ছুটি থাকে।

এছাড়াও প্রয়োজনে সরকারি কর্মীরা বেশ কিছু সরকারি অফিসে এসে কাজ করেন। তাই সরকারের পক্ষ থেকে NI Act-এ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বেসরকারি সংস্থাগুলির কর্মীরাও যাতে পঞ্চায়েত ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেন, তাই শ্রম দপ্তরের তরফে আলাদা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন, বাতিল 32000 Primary TET শিক্ষকদের সুখবর, আদালতের নির্দেশে প্রক্রিয়া শুরু করলো WBBPE পর্ষদ।

কোনো কর্মী যদি পঞ্চায়েত এলাকার বাইরে কোনো এলাকায় কাজ করে থাকেন, তিনিও ওই দিন বিশেষ ছুটি পাবেন। পশ্চিমবঙ্গের যে ২২ টি জেলায় পঞ্চায়েত ভোট গ্রহণ হবে, সেই সমস্ত স্থানে এন আই অ্যাক্টে রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। এছাড়া বক্রি ঈদ উপলক্ষ্যে আরও একদিন অতিরিক্ত ঘোষণা হতে পারে (এখন অফিসিয়ালি জানা যায়নি). আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন।