IMG 20240625 WA0002

গত দু’বছর ধরে যে হারে গরম পড়ছে তাতে এক সেকেন্ডও ফ্যান বা এসি না চালিয়ে থাকা অসহ্যকর (Save Electricity). তবে প্রত্যেকটি ব্যক্তি যেভাবে নিজের বাড়িতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করেন সেভাবে কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের অহেতুক ফ্যান বা লাইট চললেও সেটি বন্ধ করেন না। ঠিক এই বিষয়টিকে ঘিরেই এবার মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।

School Education Department Guidelines for Save Electricity

রাজ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বহু স্কুলে স্কুল থেকে ছাত্রছাত্রীরা বেরিয়ে গেলেও স্কুলের ক্লাসরুম গুলোতে অকারণে ফ্যান, লাইট চলতে থাকে। এমনকি স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার পরেও ফ্যান লাইট সারারাত ধরে জ্বালিয়ে রেখে দেওয়া হয়। যেভাবে চারিদিকে গরম পড়ছে তাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা বা বিদ্যুতের যোগান দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে (Save Electricity).

যার জন্য দিনের মধ্যে কয়েক ঘন্টা অঞ্চল ভিত্তিক লোডশেডিং করে রাখা হয়। তার মধ্যে যদি অকারনে ফ্যান, লাইট জ্বালিয়ে বিদ্যুতের অপচয় করা হয় তাহলে এত বিদ্যুতের যোগান কি করে দেওয়া হবে এই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন রাজ্য সরকার (Save Electricity).

মুখ্যমন্ত্রী এবার বেশ কড়া ভাষাতেই বললেন ” যেন লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন!” যা টাকা যাবে তা সরকারের, স্কুলের কারও কিছু নয়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে কিছুটা নড়েচড়ে বসলেন বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তর। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা দফতর তড়িঘড়ি বৃহস্পতিবারই নোটিশ জারি করে সমস্ত স্কুল গুলোকে নির্দেশ পাঠিয়েছেন (Save Electricity).

নির্দেশের মূল কথা ছিল স্কুলে অযথা ফ্যান, লাইট চালিয়ে রাখা যাবে না। তবে শুধু স্কুল গুলোকেই এমন নির্দেশ দিয়েছেন তা নয় মুখ্যমন্ত্রী এটাও জানিয়েছেন অনেক সরকারি অফিসে যখন কর্মীরা থাকে না তখন অযথাই লাইট, ফ্যান এমনকি এসিও ব্যবহার করা হচ্ছে (Save Electricity).

অবশেষে বকেয়া বেতন দিতে রাজি হল রাজ্য সরকার। সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে মোটা টাকা।

এমনই লোকজন না থাকাকালীন সময়ে এসি চালানোর ফলস্বরূপ উত্তরবঙ্গের একটি পর্যটক বাংলোয় এসির মাধ্যমে শর্ট সার্কিট হয়ে পুরো বাংলোটি আগুনে ঝলসে যায়। ফলে সরকারি অফিসে কর্মী না থাকাকালীন সময় বা স্কুলের ছুটির পরে অকারণে বিদ্যুৎ অপচয় করা চলবে না।

IMG 20240625 WA0000

তবে শুধু নির্দেশিকা জারি করা নয়, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে কিনা, দেখতে মাঝে মধ্যে স্কুলগুলিতে অভিযান চালানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে শিক্ষা দফতর। শিক্ষা দফতরের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্তা বলেন, “চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।”

DA বৃদ্ধির পর ফের সুখবর! সরকারি কর্মীদের ভাতা নিয়ে অর্থ দফতরের গুরুত্বপূর্ণ খবর

মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই। বিশেষ করে বিদ্যুৎ চাহিদা যে হারে বাড়ছে তাই তার যোগান সুনিশ্চিত করতেও এমন একটি করা নির্দেশের প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন অনেকে (Save Electricity).