Bank Loan Document – তবে কি এবার প্রাথমিক শিক্ষকদের সব কাজেই জমা দিতে হবে টেট পাশের নথি! জানুন বিস্তারিত।
Bank Loan Document – টেট কাণ্ড নিয়ে নতুন অভিজ্ঞতার সাক্ষী প্রাথমিক শিক্ষক।
রাজ্য শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Bank Loan Document) নিয়ে জল ঘোলার আর শেষ নেই। একের পর এক নতুন তথ্য উন্মোচন করছে কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যে চাকরি গিয়েছে বহু প্রাথমিক শিক্ষকের। সিবিআই তদন্তের স্বার্থে প্রাথমিক শিক্ষকদের এবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চাকরি সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র শিক্ষা দপ্তরের কাছে জমা দেওয়ার জন্য। এখানেই শেষ নয়।
এবার থেকে কি তবে প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রেও জমা দিতে হবে টেট পাশের (Bank Loan Document) নথিপত্র? অবাক হচ্ছেন! এমনটাই ঘটল আলিপুরদুয়ারে। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন জানাতে গিয়ে দেখাতে হল টেট পাশের সমস্ত নথিপত্র। এ কি কান্ড শুরু হল রাজ্যজুড়ে! আদৌ কি কোন অফিশিয়াল না বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে?
সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলার পারোকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রাথমিকের এক শিক্ষককে ঋণ দিতে গিয়ে (Bank Loan Document) টেট পাশের নথি চাইলেন উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহ খানেক আগে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তাঁদের সলসলাবাড়ি শাখায় ঋণের আবেদন জানাতে গেলে ওই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের কাছে টেট পাশের নথি দেখতে চান।
প্রকাশিত হল অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে সম্পূর্ণ নতুন বিজ্ঞপ্তি, জানুন বিস্তারিত
যদিও এই নিয়ে উপরমহল থেকে কোনও লিখিত নির্দেশ তাঁদের কাছে এখনও আসেনি বলেও জানান। এরপর টেট পাশের সমস্ত নথি দেওয়ার পরে (Bank Loan Document) ব্যাংকের তরফ থেকে তাকে ঋণ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সলসলাবাড়ি শাখার ম্যানেজার সুশান্তকুমার মারাক বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলা নিয়ে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তাদের ২৬৯ জনের চাকরি গিয়েছে। চলছে সিবিআই তদন্ত। তাই এইরকম অবস্থায় কোন ঝুঁকি নিতে চায়না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। যার ফলস্বরূপ টেট পরীক্ষায় পাশের নথি দেখে তারপরে দেওয়া হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকদের ঋণ।
স্কুল বন্ধ, জমিয়ে টিউশনি করছেন শিক্ষক, চাকরি নিয়ে টানাটানি বহু শিক্ষকের, লিস্ট দেখুন
তিনি আরো স্বীকার করে নিয়েছেন, কোনো লিখিত নির্দেশ এখনো পর্যন্ত দেওয়া হয়নি এ বিষয়ে (Bank Loan Document)। অন্যদিকে, জেলার লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অশোক কুমার বলেন, “এমনটা হয়ে থাকলে তা কেন হচ্ছে, সে ব্যাপারে উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সদর দফতরে কথা বলব।”
প্রতিদিন আরো নিত্যনতুন খবরের আপডেট পেতে ফলো করতে বলবেন না এই ওয়েব পোর্টালটি।