রাজ্যের সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য বকেয়া DA তথা মহার্ঘ ভাতার দাবীতে আন্দোলন চলছে কোলকাতার বুকে। এর মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের খবর রীতিমতো চমকে দেবার মতো। কোলকাতা হাইকোর্ট এবং SAT – এ মামলা চলেছে বেশ কয়েক বছর। এরপর সরকারি কর্মীদের আইনি জয় লাভ হলেও মেলেনি বকেয়ার টাকা। উপরন্তু রাজ্য সরকার মহামান্য কোলকাতা হাইকোর্টের রায়ের দাবীকে মান্যতা না দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে SLP মামলা দায়ের করেছে।
সুপ্রিম কোর্টে DA মামলায় জোড় ধাক্কা খেলেন সরকারি কর্মীরা, আবার অপেক্ষা।
১৬ জানুয়ারি DA নিয়ে দীর্ঘ লড়াই শেষ হবে, এই প্রত্যাশা করছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কিন্তু, আইনি জটিলতায় পিছিয়ে যায় এদিনের শুনানি। ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে DA মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবার কথা ছিল। উল্লেখ্য, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং হৃষীকেশ রায়ে ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। DA নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই করে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। গত বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেয়।
এই জন্য তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। স্যাটের পর কলকাতা হাইকোর্টের রায়ও যায় সরকারি কর্মীদের পক্ষে। কিন্তু, এই রায় পুর্নবিবেচনা করার আবেদন জানিয়ে ফের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। কিন্তু, সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া তিন মাসের সময় সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও DA না দেওয়ায় রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বকেয়া ডিএ দিতে হবে এই নিয়ে বিক্ষোভ আন্দোলনেরত রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সে কথা শুনতে নারাজ। তবে কলকাতা হাইকোর্টের রায় কর্মীদের সপক্ষে যায়। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। গত বছরের ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরে অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য সরকার।
যা অবশ্য মাসখানেক পরেই খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরই মাঝে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে রাজ্যের তিনটি সরকারি সংগঠন। সেই মামলার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করে বসে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। এই মামলার শুনানি হবার কথা ছিল ১৫ মার্চ, বুধবার। তবে শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়া হল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দায়ের করা ‘স্পেশাল লিভ পিটিশন’-র চূড়ান্ত শুনানি বুধবার হচ্ছে না।
লটারি জিতে কোটিপতি হওয়া খুব সহজ, যদি জানা থাকে বৈজ্ঞানিক কৌশল! দেরি কিসের, এখুনি দেখুন।
তার পরিবর্তে আগামী ২১ মার্চ, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই ডিএ মামলার শুনানি হতে চলেছে। এই বিষয়ে নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লিয়জের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, কেসটির আজ মেনশন হিয়ারিং হয়েছে। এরপরে ২১ মার্চ (মঙ্গলবার) সুপ্রিম কোর্টের ছয় নম্বর বেঞ্চে ডিএ মামলার শুনানি হবে। তার পরে সুপ্রিম কোর্টের তরফে কজলিস্ট প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন মলয় মুখোপাধ্যায়।
কিন্তু কেন ১৫ মার্চ শীর্ষ আদালতে ডিএ মামলার শুনানি হচ্ছে না? এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহেই দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে একটি সার্কুলার জারি করা হয়। সেখানে জানানোর হয় ১৫ মার্চ এবং ১৬ মার্চ যে মামলাগুলি নথিভুক্ত আছে, সেগুলির সেদিন শুনানি হবে না। এর পরেই সোমবার মেনশন হিয়ারিংয়ের আবেদন জানানো হয়।
আরও 17 টি ব্যাংক ও আর্থিক সংস্থার লাইসেন্স বাতিল, জেনে বুঝে টাকা ইনভেস্ট করুন।
আজ মেনশন হিয়ারিংয়ে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে আগামী ২১ মার্চ ডিএ মামলার শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আপাতত ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ছয় শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন এই বছরের মার্চ মাস থেকে। তবে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ নিয়ে যে মামলা চলছে, তা পঞ্চম বেতন কমিশনের রাজ্য সরকারের না দেয়া বকেয়া ডিএ নিয়ে চলছে।
Written by Parna Banerjee.