মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের Swasthya Sathi Card তথা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বড় উদ্যোগ। আমাদের জনদরদী মূখ্যমন্ত্রী সকলের কথা ভেবেই কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। যদিও বা তিনি নারী কল্যাণে সবথেকে বেশি উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি নারীদের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডারের ব্যাবস্থা করেছেন। এরপর তিনি রাজ্যের পরিযায়ী কর্মীদের জন্য তাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে Swasthya Sathi Card তথা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা করে দিলেন।
New Swasthya Sathi Card for Migrent Workers
মঙ্গলবার শিলিগুড়ির দিনবন্ধু মঞ্চে জনজাতি, সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডগুলিকে নিয়ে বৈঠকে এ কথা জানান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। Swasthya Sathi Card তথা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হলো একটি কাগোজবিহীন স্মার্ট কার্ড। ২০১৬ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পটি চালু করেন।
পরিবারের সকলে এই প্রকল্পটির সুবিধা পান যার খরচ বহন করে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের অনেক শ্রমিক-মজদুর রয়েছেন, যাঁরা বাইরে (ভিন রাজ্যে) কাজ করেন। আজ থেকে ওঁদের হাতে একটা আলাদা Swasthya Sathi Card তথা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিচ্ছি।
এঁরা বাইরে কাজ করেন। যখন শরীর খারাপ হয়, তখন ঘরে খবর পাঠান। যে ঘরের মানুষ তা ভাববে, দেখবে। কিন্তু তাঁদের চিকিৎসা করানোর টাকা থাকে না। আমাদের ২৮ লক্ষ বাইরে কাজ করে এমন শ্রমিক-মজদুরদের জন্য Swasthya Sathi Card তথা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আলাদা ভাবে দিচ্ছি।
’’অনেক পরিযায়ী শ্রমিক আছেন যারা পশ্চিমবঙ্গে থেকে কাজ করেন এবং কিছু মাস অন্তর অন্তর নিজেদের রাজ্যের নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে যান। বর্তমানে গণনা অনুযায়ী এই পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ। তারা বেশির ভাগই একটি গোষ্ঠীর মাধ্যমে সংঘবদ্ধ হয়ে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যান।
যার মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই যান রাজমিস্ত্রি, রং, মাটি কাটা এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজে। হঠাৎ উচুঁ বিল্ডিঙে কাজ করতে করতে পরে অ্যাকসিডেন্ট হয়ে গেলে বা কাজের যেকোনো সময় কোনো ভাবে কিছু দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তাদের পক্ষে এত টাকা দিয়ে চিকিৎসা করা সম্ভব না।
31st মার্চের মধ্যে এই কাজ না করলে বন্ধ হবে আপনার PPF, NPS, SSY একাউন্ট।
তাদের পরিবারের কাছে খবর পৌঁছাতে পৌঁছাতে শ্রমিকদের সাংঘাতিক কিছু হয়েও যেতে পারে। এই সকল কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নেন। এবার থেকে তারা এর Swasthya Sathi Card তথা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারেন সেখানকার স্থানীয় কোনো হসপিটাল বা নার্সিংহোমে।
সাধারণ পরিবারের ক্ষেত্রে প্রত্যেক পরিবার পিছু বার্ষিক ৫ লাখ টাকার বীমা পাওয়া যায়। তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এরা ইন্স্যুরেন্স এর পরিবর্তে আসিওরেন্স পাবেন। সরকারি হসপিটাল সহ বেসরকারি বেশিরভাগ নার্সিংহোম চিকিৎসা করানোর সুযোগ পাবে তারা এর Swasthya Sathi Card তথা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।
পশ্চিমবঙ্গে রমজান মাসে পাবেন বাড়তি রেশন। রোজার মাসে কোন কার্ডে কি কি রেশন বেশি পাবেন, জেনে নিন।
এই Swasthya Sathi Card তথা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রকল্প চালু হওয়ার ফলে শ্রমিকদের পাশাপাশি তাদের পরিবাররাও দুশ্চিন্তা মুক্ত হবেন, তারা শান্তির সাথে বাইরে ইনকাম করতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে ভালো মন্তব্যের পাশাপাশি অনেককে খারাপ মন্তব্যও করতে দেখা গেছে। অনেকের মতে CAA চালু হওয়ার পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তার ভোট হারাবেন এই ভয়েই তার এই নতুন স্কিম।