Weight Loss: জিমে না গিয়েও মাত্র 1 মাসে ঝরবে ওজন। দেখে নিন ফিট শরীর পাওয়ার কার্যকর পদ্ধতি

Weight loss At Home

আপনি কি দ্রুত ওজন কমাতে (Weight Loss) চাইছেন? কিন্তু আপনার হাতে স্বল্প সময় তাই জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করাও সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে উপায়? বাড়িতেই নির্দিষ্ট কিছু অভ্যাস মেনে চললে দ্রুত ওজন কমবে। এমনকি বলা যায়, জিমে না গিয়ে মাত্র এক মাসের মধ্যে ফিট হয়ে উঠবেন। অবাক হলেন? আসুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক ফিট শরীর পাওয়ার কার্যকর পদ্ধতি।

Weight loss Tips | ওজন কমানোর উপায়

আলাদা করে শরীরচর্চা করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। তাই তাঁদের খাদ্যাভাস ও প্রত্যেক দিনের জীবন যাপনের দিকে নজর দেওয়া জরুরী। বিশেষ করে নিজের স্বাস্থ্যের (Health) খেয়াল রাখতে হলে ওজনের দিকে খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরী। কারণ, ওজন বেড়ে গেলে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা চলে আসে। আর যদি ওজনের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে তাহলে শারীরিক সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। আসুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কিভাবে বাড়িতেই বিভিন্ন কার্যকর পদ্ধতিতে আপনি আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

১) নিয়মিত যোগব্যায়াম

জিমে যেতে পারছেন না তো কি হয়েছে? আপনি বাড়িতেই করে নিতে পারেন কার্যকরী যোগব্যায়াম। হাতেই রয়েছে মোবাইল সেখানে রয়েছে ইউটিউব। একাধিক যোগব্যায়াম পদ্ধতি সেখানে দেখানো হয়। তাই হাতে অল্প একটু সময় নিয়ে বাড়ি থেকে যোগ ব্যায়াম করে নিতে পারেন। দেখবেন নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকছে।

আরও পড়ুন: তীব্র গরমে সুস্থ থাকার জন্য সেরা পাঁচটি পানীয়। বাড়িতে বানিয়ে নিন। পান করে সুস্থ ও সতেজ থাকুন

২) হাঁটাচলা করার প্রয়োজনীয়তা

রোজ কিছুক্ষণের জন্য হলেও হাঁটাচলার অভ্যাস থাকা জরুরি। যদি ব্যস্ততা আর কাজের চাপে নিয়মিত ব্যায়াম করার সময় না পান তাহলে কিছু সময়ের জন্য হলেও হাঁটাচলা করুন। এভাবেই বাড়িতে কার্ডিয়ো ব্যায়াম হয়ে যাবে।

৩) খাবার সময় জল খাবেন না

খাবার সময় জল খাওয়ার অভ্যাস থেকে বহু মানুষের। কিন্তু মনে রাখবেন, খাওয়ার সময় না বরং খাওয়ার আগে জল খেয়ে ফেলার অভ্যাস ভাল। আগে যদি জল খেয়ে নেন তাহলে পেট ভরা থাকবে। যার ফলে খুব বেশি খেতে ইচ্ছে করবে না। আর যদি পরিমিত মাত্রায় খাওয়াদাওয়া হয় তাহলে হজমে সুবিধা হয়, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আরও পড়ুন: হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়। মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ মেনে সফলতার দিকে এগিয়ে চলুন

৪) ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কমান

ডায়েটে কার্বহাইড্রেটের মাত্রা কম করা ভালো। বেশি করে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কারণ, ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে। হজমের গোলমালে নাজেহাল হতে হবে না। আর হজম ঠিকঠাক হলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

৫) মিষ্টি খাওয়া একদম বন্ধ

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে মিষ্টি খাওয়া কমাতে হবে। চিনি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তবে যদি আপনি ভীষণভাবে মিষ্টিপ্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে মিষ্টি খেলেও নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ম মেনে খেতে হবে। এই নিয়মগুলি মেনে চললে ওজন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। আর আপনি থাকবেন ফিট।

উপসংহার: আজকের প্রতিবেদনে বেশ কিছু পদ্ধতি আলোচনা করা হলো যার দ্বারা কোনো ব্যক্তি ফিট থাকার উপায় খুঁজে নিতে পারেন। তাই আপনি যতই কর্মব্যস্ত হন না কেন কাজের মাঝেও একটু সময়ের জন্য নিজের খেয়াল রাখা জরুরী। উপরোক্ত পদ্ধতি মেনে আপনিও থাকতে পারেন ফিট।

Related Articles

Back to top button