নগর বন্ধু স্কীম (Senior Citizen Nagar Bandhu Scheme)

নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্যের সকল সিনিয়র সিটিজেনদের (Senior Citizen) দেওয়া হল বড় উপহার। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার নিল নতুন এক উদ্যোগ। যার মাধ্যমে এবার থেকে প্রবীণ নাগরিকরা পাবেন বিশেষ সুবিধা। এর জন্য কোনো যোগ্যতার দরকার নেই। কেবল একজন ব্যক্তির ৬০ বছর বয়স পার হতে হবে। তাহলেই তিনি পারবেন সুবিধার তালিকায় নিজের নাম নথিভুক্ত করতে।

West Bengal Senior Citizen Nagar Bandhu Scheme

আপনি যদি যোগ্য হন তাহলে আপনিও পেতে পারেন এই বিশাল সুবিধা। এখন অযথা আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি জেনে নেওয়াই ভালো কি এমন সুবিধা দিচ্ছে সরকার।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে চালু হওয়া দুয়ারে সরকার প্রকল্পের নাম আমরা সকলেই জানি।

রাজ্যে যে সকল নাগরিকরা কোনো সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তারা দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকে সহজেই পেয়ে যান সেই সরকারি পরিষেবা। এই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের (Duare Sarkar) অনুকরণেই এবার চালু হলো রাজ্যে আরেক প্রকল্প।

উদ্যোগটি নিয়েছে রাজ্যের কলকাতা পৌরসভা। তাদের মারফত চালু করা হলো নতুন একটি যোজনা যার নাম ‘নগর বন্ধু স্কীম’ (Senior Citizen Nagar Bandhu Scheme). শুক্রবার কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্বয়ং এর উদ্বোধন করেছেন। উপস্থিত ছিলেন পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার এবং মেয়র পারিষদ (আইটি) সন্দীপন সাহাও। বলা হয়েছে ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে এই স্কিম শুরু হবে কলকাতার মধ্যে।

কি এই নগরবন্ধু স্কিম?

বর্তমানকালে ডিজিটাল যুগে বেশিরভাগ সরকারি সুবিধা পাওয়া যায় স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই। কিন্তু সাধারণভাবে যারা সিনিয়র সিটিজেন (Senior Citizen Nagar Bandhu Scheme) তাদের কাছে স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটার তেমনভাবে উপলব্ধ নয়। অন্যদিকে তারা সরাসরি সরকারের দুয়ারে গিয়েও ধর্না দিতে পারেন না নিজেদের কাজ করার জন্য।

এক্ষেত্রে চরম সমস্যায় পড়েন তারা। তাই মূলত এই সব মানুষকেই সরকারি পরিষেবা সঠিকভাবে পাইয়ে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে এবার কলকাতা পৌরসভা। মিউটেশনের কাজ থেকে শুরু করে জন্ম মৃত্যুর শংসাপত্র সংক্রান্ত পরিষেবা মিলবে এই Senior Citizen Nagar Bandhu Scheme প্রকল্পে।

ভোটের কথা মাথায় রেখে চালের দাম কমালো মোদী সরকার। কত টাকা কমবে?

মেয়র ফিরহাদ বলেন, ‘বর্তমানে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়। তবে অনেক বয়স্ক মানুষই কম্পিউটার চালাতে পারেন না। এই আবহে কোনও প্রবীণ নাগরিক যদি ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন জানাতে চান, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপে জানালেই পুর আধিকারিক তাঁর বাড়িতে চলে যাবেন। সেই আধিকারিক নিজের সাথে ল্যাপটপ নিয়ে যাবেন।’

এই পরিষেবা পেতে গেলে কি কোন টাকা লাগবে?

কলকাতা পৌরসভা জানিয়েছে, আপাতত নগর বন্ধু স্কিম এর মাধ্যমে রাজ্যের মানুষ বিনামূল্যেই সরকারি পরিষেবা পাবেন। কিন্তু ভবিষ্যতে এর বিনিময়ে নির্দিষ্ট চার্জ গ্রহণ করা হতে পারে, এমনটাও বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, নয়া পরিষেবায় ড্রাফট করে বাড়িতে বসেই কর দেওয়ারও সুযোগ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। চলাফেরা না করতে পারায় অনেক প্রবীণেরাই পুরসভার অফিসে গিয়ে কর জমা দিতে পারছেন না।

তাই এই সুবিধাটি ও সেখান থেকে পাবেন তারা। কিন্তু শেষে একটি কথা মাথায় রাখবেন, কেবল ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা ছাড়া কিন্তু আর কেউই সুবিধা নিতে পারবেন না এই স্কিম থেকে। যদি কোন কারনে অযোগ্য ব্যক্তিরা পৌরসভা কে ফোন করে বিভ্রান্ত করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুরসভা।
Written by Nabadip Saha.