Rice Price – ভোটের কথা মাথায় রেখে চালের দাম কমালো মোদী সরকার। কত টাকা কমবে?
Rice Price Drop : গরিবদের সহায় মোদি সরকার! কমলো খুচরো ও পাইকারি চালের দাম।
২০২৪ সালের নির্বাচনের আগেই মাস্টার স্ট্রোক দিল মোদি সরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো গরিবদের মুখের দিকে চেয়ে এবারে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিসের দাম কম করা হবে। এক্ষেত্রে প্রথমেই আমাদের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় আহার্য সামগ্রী চালের দাম কম করল কেন্দ্রীয় সরকার।
Rice Price Drop in India before Lok Sabha Election
গত কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রের তরফে এই নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়েছে চাল প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। আর তারপরেই সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, অতি শীঘ্রই কমানো হবে দেশীয় বাজারে চালের দাম (Rice Price). সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে নাকি খুচরো ও পাইকারি দুই ধরনের চালেরই দাম কম হতে চলেছে। অর্থাৎ এবার মুদ্রাস্ফীতির বাজারেও স্বস্তি পেতে চলেছে দেশের দরিদ্র মানুষেরা।
উল্লেখ্য, অতিমারীর পর সমগ্র বিশ্বেই মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে গেছে এবং তা চলছে এখনো। আমাদের দেশেও ব্যতিক্রম ঘটেনি এর। যার কারনে হু হু করে বেড়ে চলেছে সকল জিনিসের দাম। আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় আহার্য সামগ্রী চালেরও দামেও প্রভাব ফেলেছে এটি। গত দুই বছরে ভারতে চালের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার গেছে ১২ শতাংশের কাছাকাছি। এই হারে দাম বৃদ্ধি পেতে থাকলে তা আম জনতার জন্য সত্যিই সমস্যার।
কারণ বর্তমান যুগে এমনিতেই মানুষের আয় কম, ব্যয় বেশি হয়ে গেছে। সেখানে মুদ্রাস্ফীতির কারণে যদি নিত্যদিনের খাবারটুকুরও দাম বেড়ে চলে, তাহলে এরপর তো মানুষ না খেতে পেয়ে মরবে। তাই এই সমস্যার হাল ধরতে এবার বদ্ধপরিকর হলো কেন্দ্র।
নিত্য প্রয়োজনীয় চালের এই মূল্যবৃদ্ধি (Rice Price) আটকাতেই সেদিন বৈঠক সেরেছেন কেন্দ্রের খাদ্য দপ্তরের সচিব সঞ্জীব চোপড়া।
আরও পড়ুন, রান্নার গ্যাস বায়োমেট্রিক আপডেট করাতে বাড়িতে লোক পাঠানো হবে!! গ্যাসের দোকানে লম্বা লাইন?
বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার হাতে যথেষ্ট চালের সংস্থান থাকলেও দেশীয় বাজারে নাকি বেড়ে চলেছে চালের দাম। পাশাপাশি এমনটাও শোনা গেছে, অনেক জায়গায় নাকি এমআরপি দামের চেয়েও বেশি হারে বিক্রি হচ্ছে চাল। তাই শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সকল দুর্নীতি রোধ করে সম্ভব চালের দাম কমাতেই হবে দেশীয় বাজারে।
চালের দাম প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল জানিয়েছেন, “প্রতি সপ্তাহে ঘরোয়া বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চালের (Rice Price) কী অবস্থা হচ্ছে, সেদিকে নজর রাখছে সরকার। অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশ্বব্যাপী চাল ব্যবসায় নিজেদের অংশীদারিত্ব বাড়ানো হতে পারে।” তবে কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য বৃদ্ধির দ্বারাই প্রভাবিত হয় দেশীয় বাজারের মূল্য তালিকা।
তাই কেবল এদেশেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও চালের দামের বাড়া কমার (Rice Price) ওপর কড়া নজর রাখবে সরকার। যতটা জানা যাচ্ছে, দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম নিম্নমুখী করতে বিশ্ববাজারে এদেশ থেকে বাসমতি এবং সাধারণ চালের রপ্তানীও বন্ধ করতে চলেছে কেন্দ্র।
Written by Nabadip Saha.