রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় বদল। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিলো রাজ্য সরকার।
রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের জন্য দুর্দান্ত খবর ঘোষণা করলো সরকার। এবার রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো ভালো করতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের। ২০২৪ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে মে মাসের ৮ তারিখে। ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পূর্বেই প্রত্যেকটি ছাত্র ছাত্রী প্রস্তুতি নিচ্ছেন তার কোথায় পড়বেন, কি নিয়ে পড়বেন, কোন কোন বড় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন এই সমস্ত বিষয়ে। অর্থাৎ তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এখন থেকেই শুরু।
Order for All Schools to Prepare Drop Out Students Database
ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনায় আগ্রহ আনার জন্য এবং পড়শোনায় যাতে বাঁধা সৃষ্টি না হয় তাই বিভিন্ন ভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন সরকার। চালু করা হয়েছে বিবেকানন্দ, নবান্ন উত্তরকন্যার মতো একধিক স্কলারশিপ। এর পরেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে বেশ কিছু ছাত্র ছাত্রী যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে না।
যত সংখ্যক পড়ুয়া উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের প্রত্যেকে পড়াশোনার সাথে যুক্ত থাকছেন না। এর ফলে তারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারছে না। রাজ্যে স্নাতকস্তরে পড়ুয়ার শিক্ষার হারের সংখ্যা কমে আসছে। উচ্চমাধ্যমিক পর অনেকেই একাডেমিক কোর্স না করে ডিগ্রি কোর্স করেন অথবা নাচ, গান বিভিন্ন শিল্প নিয়ে চর্চা করেন। এমন পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৭০ শতাংশ।
পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষকদের বদলি নিয়ে সুখবর দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষকদের দাবীপূরণ।
বাকি ৩০ শতাংশ ছাত্র ছাত্রী কোনো বিষয়ের সাথেই যুক্ত থাকছেনা। এই বিষয়ে তাদের টিকি টুকু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তর এই সমস্যা সমাধানের ভার দেন রাজ্যের স্কুল গুলির ওপরই। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা যেনো পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষার জন্য কোন বিষয়ে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে তার সঠিক ডেটাবেস তৈরি করেন। এর পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রীদের পারিবারিক আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হন।
অনেক শিক্ষার্থীই রয়েছেন যারা তাদের পারিবারিক আর্থিক অনটনের জন্য উচ্চমাধ্যমিকের পর শিক্ষা থেকে বিরতি নেন। এমন সব ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলগুলিকে শনাক্ত করতে হবে। তবে এরই মধ্যে উদ্ভব হয়েছে নতুন এক সমস্যার। এত সংখ্যক পড়ুয়ার ডেটাবেস তৈরি করার জন্য দরকার যথেষ্ট পরিমাণ কর্মীর। যা রাজ্যের স্কুলগুলিতে বড় ঘাটতি।
ত কম সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষিকাদের দ্বারা নির্দিষ্ট সময় এত বড় কাজ করা জটিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই প্রসঙ্গে কলেজিয়াম অফ এসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স এন্ড এসিস্ট্যান্ট হেডমিনিস্ট্রেস এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন,’ রোজকার কাজের বাইরে পরিকাঠামো ছাড়া এ সব কাজ করতে স্কুলগুলিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতিটি স্কুলের ক্লার্ক সংখ্যা কম।
আবার এই ধরনের ডেটা তৈরি করা এবং কৃতি পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে যত কর্মী প্রয়োজন, টা অপ্রতুল’। তবুও শিক্ষা পর্ষদ তাদের উদ্দেশ্যে সফল হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এবং প্রত্যেকটি ছাত্র ছাত্রীকেই পড়াশোনার গন্ডিতে আবদ্ধ করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Written by Sathi Roy.