Investment Options – দ্রুত টাকা বাড়াতে হলে এবং অবসর বয়সে নিশ্চিন্তে কাটাতে হলে এই নিয়মে টাকা সঞ্চয় করুন।

আমরা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কম বেশি সবাই সঞ্চয় করে থাকি। কিন্তু সঠিকভাবে সঞ্চয় করার জন্য আমাদের কিছু Investment Options ফলো করতে হবে। যেকোনো ব্যক্তিই হোক জীবনে অর্থের দরকার সকলেরই থাকে। আর অর্থের যোগান পাওয়ার জন্য দরকার অর্থ সঞ্চয় করে রাখা। নইলে সব সময় টাকা আসবে কোত্থেকে? তবে অন্যান্য ব্যক্তিরা যেমন তেমন, যারা বয়স্ক মানুষ, সদ্য সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিতে চলেছেন, তাদের ক্ষেত্রে কর্মজীবনে অর্থ সঞ্চয় করে রাখা বেশি জরুরী হয়। কারণ রিটায়ারমেন্টের পর গ্র্যাচুইটি, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আর পেনশন এইতো ভরসা।

Investment Options for Senior Citizens

কিন্তু নদীর বালিও নিতে নিতে এক সময় ফুরিয়ে যায়, সেখানে টাকা পয়সা তো কোনো ব্যাপারই নয়। তাই আপনি যদি কর্মজীবনে থাকাকালীনই সঞ্চয়ের মনোভাব না তৈরি করেন তাহলে অবসরের পর কিন্তু আপনার ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ অসুরক্ষিত, এ কথা জেনে রাখবেন। আমরা আপনাকে আজ এমন একটি Investment Options এর কথা বলবো, যেভাবে টাকা জমালে রিটায়ারমেন্ট এর পর আর আপনার দরকারই পড়বে না পেনশন।

Fidelity Investment Options

আপনি যা টাকা সঞ্চয় করবেন তা দিয়েই ভবিষ্যৎ জীবন হেসে খেলে কেটে যাবে। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা এমনকি বেশ কিছু (Investment Options) সংস্থাও এ ব্যাপারে বলেছে যে কেবলমাত্র রাষ্ট্রীয় সুবিধার প্রতি ভরসা করে না থেকে প্রত্যেক ব্যক্তিরই কর্মজীবনে থাকাকালীন অর্থ সঞ্চয় করে রাখা আবশ্যক। তাতে ভবিষ্যৎ সুরক্ষা বৃদ্ধি পাবে। ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টস আপনার বার্ষিক আয়ের দশগুণ সঞ্চয় করার পরামর্শ দেয়। কিভাবে করবেন এই সঞ্চয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

Investment Options গুলির মধ্যে প্রথম যে বছর চাকরিতে জয়েন করবেন সেই বছর থেকে শুরু করে আপনার অবসরের বয়স পর্যন্ত নিজের বার্ষিক বেতনের হিসাব রাখুন। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বছরে জমিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। দেখবেন, অবসরের পর তা কোটি টাকাতেও পরিণত হতে পারে। একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝে নেওয়া যাক ব্যাপারটি। মনে করুন, আপনি 30 বছর বয়সে একটি চাকরিতে ঢুকেছেন।

সাশ্রয়ের এই উপায় গুলি জানলে টাকা জমবে মুঠো মুঠো, আর হবে না বাড়তি খরচ।

তবে 30 বছর বয়স থেকে শুরু করে আপনার বার্ষিক বেতনের সমপরিমাণ সংরক্ষণ করার লক্ষ্য রাখুন। 40 বছর বয়সে আপনার আয়ের তিনগুণ লক্ষ্য করুন। 50 বছর বয়সে, আপনার আয়ের ছয় গুন লক্ষ্য করুন। 65 বছরের মধ্যে আপনার আয়ের দশগুণ চেষ্টা করুন। এভাবে প্রতি মাইলস্টোন হিসেবে লক্ষ্য নির্ধারণ করলে টাকা জমানো সহজ হবে এবং ভবিষ্যতে তা বড়সড়ো অ্যামাউন্টে ফিরে আসবে আপনারই কাছে।

Click Here

যদিও নিত্য প্রয়োজনীয় থেকে শুরু করে শখের জিনিস সব কিছুরই দাম বেড়েছে আজকাল। অন্যদিকে কমেছে মানুষের আয়। তাই এ যুগে দাঁড়িয়ে টাকা বাঁচাবো বললেও সেটা হয়ে ওঠে না অনেক মানুষের পক্ষেই। কিন্তু এটা যে একেবারেই সম্ভব নয় সেটা বলাটা ভুল। রোজগার তো আমরা সকলেই করি। কেউ কম বা কেউ বেশি। কিন্তু যদি দেখেন, দেখবেন একজন বেশি আয় করা লোকও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে টাকা ঠিকমতো জমিয়ে উঠতে পারছেন না।

সাশ্রয়ের এই উপায় গুলি জানলে টাকা জমবে মুঠো মুঠো, আর হবে না বাড়তি খরচ।

বে হিসেবি খরচ হয়ে যাচ্ছে তার। অন্যদিকে একজন স্বল্প আয়ের ব্যক্তি ঠিকঠাক পদ্ধতি অবলম্বন করে জমিয়ে ফেলেছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। আসলে সব ক্ষেত্রেই দরকার সঠিক পরিকল্পনার। আপনি যদি একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে Investment Options এর পদ্ধতি অনুযায়ী অর্থ সঞ্চয় করা শুরু করুন এখনি। আমরা কথা দিচ্ছি যে অবসরের পর‌ এর দ্বারা চরমভাবে উপকৃত হবেন আপনি।
Written by Nabadip Saha.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button