Primary TET – টেট মামলায় ফাঁসলেন আরও 10000 শিক্ষক। চাকরি বাতিলের আর্জি নিয়ে নথি জমা আদালতে।

প্রাথমিকের বা WBBPE Primary TET মামলা নিয়ে নতুন করে আরো 10000 শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের মামলা দায়ের করা হলো হাইকোর্টে, চাকরি যেতে চলেছে বহু শিক্ষকের। আর এই লিস্ট সত্যিই চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো। কারন ইতিমধ্যেই টেট দুর্নীতি নিয়ে কাঠগড়ায় 32000 শিক্ষক। আর এরই মধ্যে নতুন করে Primary TET মামলায় আরও নাম উঠে আসায় রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

WBBPE Primary TET মামলার অভিযোগ

প্রসঙ্গত 2020 সালের 16500 প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যে পরীক্ষা হয়েছিল, তা নিয়ে মামলা করা হয়েছিল হাইকোর্টে আগেই। এই সালের পরীক্ষার বিরুদ্ধে পরীক্ষার্থীরা এমনটা দাবি জানিয়েছিল যে যোগ্য প্রশিক্ষণ ছাড়াই নাকি এই বছরের 10000 পরীক্ষার্থীকে দুর্নীতির দ্বারা চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে যারা খেটে কষ্ট করে পরীক্ষা দিয়েছেন এবং সঠিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তাদের নামই তোলা হয়নি তালিকায়।

আর এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ শোকজ করতে বলেছিলেন WBBPE প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কে। তবে এবার Primary TET মামলার প্রসঙ্গে এ ব্যাপারে উঠে এলো আরো একটি বড় সত্য। মামলকারীরা কোর্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে যে সেই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা নাকি এখনো অস্থায়ী শিক্ষক পদে চাকরি করে চলেছেন। আর এবার এই Primary TET মামলারই শুনানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ।

রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতনবৃদ্ধি (West Bengal Employee Salary Hike)

২০২০ সালে WBBPE প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মারফত প্রকাশিত হয়েছিল ১৬৫০০ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। এই বছরের নিয়োগে বলা হয়েছিল যে ডিএড ছাড়াও বিএড উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। কিন্তু তাদেরকে অবশ্যই ছয় মাসের একটি ব্রিজ কোর্স করে থাকতে হবে। এমনটা নিয়ম করেছিল NCTE.

অন্যদিকে সেই বছরেরই কিছু পরীক্ষার্থীদের দাবি যে ২০১৫ সালের পর থেকে নাকি গত ৯ বছর যাবত রাজ্যে কোন ব্রিজ কোর্স করানোই হয়নি। অথচ বছর ঘুরতে না ঘুরতেই চাকরি পেয়ে গেছেন সেই বছরের ১০০০০ পরীক্ষার্থী। কিভাবে সম্ভব হল এমনটা। অন্যদিকে সঠিক প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও অনেক যোগ্য প্রার্থীর নাকি নামই ওঠেনি নিয়োগ তালিকায়।

আরও পড়ুন, এই ১০০০০ শিক্ষকের লিস্ট দেখেছেন?

এইরূপ অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন এই বছরের মোট ৭ জন পরীক্ষার্থী, আর সেই মামলারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের কাছে তখন শোকজ নোটিশ দিয়ে পাঠায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও এর উত্তরে এখনো কিছু জানায়নি পর্ষদ। কিন্তু সম্প্রতি সেই ১০ হাজার শিক্ষকের এখনো অস্থায়ী শিক্ষক পদে চাকরি করে যাওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্যে এই মামলার মোড় ঘুরে গেল হাইকোর্টে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ খুব শীঘ্রই শুনানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই মামলার।

আরও পড়ুন, 32000 বাতিল প্রাথমিক শিক্ষকদের মামলার রায়। চাকরি বেঁচে গেল, নাকি বাতিল?

আগামী বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি দেবে বলে দিন ঠিক করেছে। এখন দেখার পালা সেই শুনানির মাধ্যমে কোন দিকে মোড় নেয় প্রাথমিকের এই ১০ হাজার শিক্ষকের দুর্নীতি মামলা। তবে এ ব্যাপারে হাইকোর্ট মামলা কারীদের আশ্বস্ত করেছে শেষ পর্যন্ত যদি তাদের দাবি সঠিক বলে প্রমাণিত হয়, তবে অবশ্যই ন্যায় বিচার পাবে তারা। তাহলে এখন আবারও কি কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারাতে চলেছেন রাজ্যের আরো ১০০০০ শিক্ষক শিক্ষিকা? দেখা যাক মামলার রায়ে কি বলে কোলকাতা হাইকোর্ট। এই বিষয়ে আপনার মতামত নিচে কমেন্ট করে জানান।
Written by Nabadip Saha.

সুখবর বাংলা

Leave a Comment