বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) DA Case

ডিএ মামলায় (Dearness Allowance) বড় জয়ে হাসি ফুটল রাজ্য সরকারি কর্মীদের! হাইকোর্টের নির্দেশে চার সপ্তাহের মধ্যেই মেটাতে হবে তাদের DA তথা বকেয়া মহার্ঘ ভাতা।

Dearness Allowance Case. DA Hike news.

মহার্ঘ ভাতা নিয়ে চাপানউতোর চলছে সারা দেশ জুড়ে। পশ্চিমবঙ্গেও এর অন্যথা হয়নি। আমাদের রাজ্যের সকল ধরনের রাজ্য সরকারি কর্মী এবং পেনশন ভোগিরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বারবার বিক্ষোভ করেছেন তাদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানোর উদ্দেশ্যে। এছাড়া কেন্দ্রের হারে মহার্ঘভাতা প্রদান করার জন্যও তারা জোর দিয়েছেন বারবার রাজ্য সরকারের ওপর।

অবশেষে বেশ কিছুদিন আগেই জয় মেলে তাদের। গত জুন মাস থেকে কোর্টের নির্দেশে ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ায় রাজ্য সরকার। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই বর্ধিত বেতন পেয়ে বেশ খুশি থাকার কথা ছিল সকল সরকারি কর্মচারী ও পেনশন ভোগীদের। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই দানকে তারা দয়া বলে মনে করেছেন। কারণ দীর্ঘ দু’বছর যাবত যে লড়াই তারা করে এসেছেন তার মাত্র এতোটুকু ফল তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না।

বিশেষ করে বর্তমান বাজারে জিনিসপত্রের যা দর সেখানে এইটুকু টাকায় তাদের কোনমতে সম্ভব হয়ে উঠছে না কিছু চালানো। তাই তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন এখনো। তাদের দাবি একটাই যে এবার কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতেই হবে রাজ্য সরকারকে। নয়তো ততক্ষণ পর্যন্ত তারা এই আন্দোলন থামাবেন না।

Digital Birth Certificate - ডিজিটাল বার্থ সার্টিফিকেট

আর এবার মহার্ঘ ভাতা নিয়ে অন্য একটি মামলায় কর্মীদের পক্ষে আবারও একই রায় দেয় হাইকোর্ট। এই রায়ে বলা হয় আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে যদি রাজ্য সরকার মামলাকারীকে বর্ধিত হারে মহার্ঘ ভাতা প্রদান না করেছে তাহলে কোর্ট অন্য পদক্ষেপ নেবে। আদালতের এই ঘোষণা একটি নির্দিষ্ট ও ব্যক্তিগত মামলার রায় হলেও স্বাভাবিকভাবেই একটি বড় জয় রাজ্য কর্মী সংগঠনের তরফে। এবার দেখে নেয়া যাক এই মহার্ঘ ভাতা মামলা এবং তার রায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।

ডিএ মামলায় আবার জয়

২০১৪ সালে নাগাদ পশ্চিমবঙ্গে রেখা আগারওয়াল নামের এক শিক্ষিকা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এই মামলার মূল বিষয় ছিল তার সমস্ত বকেয়া মহার্ঘ ভাতা তাকে প্রদান করা। কোর্টের কাছে তিনি হলফনামা দেন যে তিনি ২০১০ সালে বড় বাজারের একটি স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি শুরু করেন। আর তখন থেকে তার বেতনে কোনরকম বৃদ্ধি ঘটানো হয়নি।

তাই এবার তিনি কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এইরূপ অভিযোগের পর কোর্টের নির্দেশে স্কুল শিক্ষা দপ্তর বিষয়টিকে ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে থাকে। এরপর স্কুল শিক্ষা দপ্তর জানান যে যেহেতু ওই মহিলা তার সর্বোচ্চ বয়স সীমা পার হয়ে যাবার পর চাকরিতে যোগদান করেছিলেন তাই তিনি আর কোনরকম মহার্ঘ ভাতা পাবেন না। কিন্তু এই কথা মেনে না নিয়ে তিনি আবারো কোর্টের কাছে উপস্থিত হন।

আরও পড়ুন, 2000 টাকার নোট বাতিলের পর আবার নোট বাতিল। রিজার্ভ ব্যাংকের আদেশ জেনে নিন।

কোর্ট জেলা স্কুল শিক্ষা বিভাগকে বিষয়টি যাচাই করার জন্য নির্দেশ দেয়। কিন্তু কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে জেলা স্কুল পরিদর্শক এড়িয়ে যান বিষয়টিকে। তারপর ২০২১ সালে শেষ বার সেই মহিলা তৃতীয়বারের জন্য কোর্টের কাছে মামলা করেন। এবং তারই রায় হাইকোর্ট ঘোষণা করেছে মাত্র গত কয়েক দিন আগে।

আরও পড়ুন, পরপর টানা 2 দিন বন্ধ থাকবে রেল পরিষেবা, বিস্তারিত জেনে নিন।

চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে হাইকোর্ট বলেছে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মেটাতে হবে মামলাকারী শিক্ষিকার সমস্ত বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance). না হলে এবার চরম ব্যবস্থা নেওয়া হবে আইন মারফত। কোর্টের এই রায় ঘোষণার পর অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে ওঠে সেই শিক্ষিকার মন।
Written by Nabadip Saha.