গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরু হয়ে নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় সাত লাখ দশম শ্রেণীর পরীক্ষার্থী জীবনের প্রথম বড়ো পরীক্ষায় বসেছে এবারে। ১২২৬টি সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পরীক্ষার পরই পর্ষদ ঘোষণা করে জানিয়েছে যে, কবে বেরোবে মাধ্যমিকের রেজাল্ট। এর ফলে পরীক্ষার্থীদের Madhyamik Result জানার জন্য খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। তবে এই মাধ্যমিক রেজাল্ট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর আশ্বাসে সকলেই একেবারে নিশ্চিন্ত।
মাধ্যমিক নিয়ে আগে থেকেই নিশ্চিন্ত হচ্ছেন পড়ুয়া থেকে অভিভাবকেরা।
চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে মার্চ মাসের ৩ তারিখে। পরীক্ষার মাঝেই অবশ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং ঘোষণা করেছেন, ‘সবাই পাশ।’ তারপর থেকেই কার্যত উচ্ছ্বাস পালন করছেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা তো বটেই, সাথে তাদের অভিভাবকরাও। তবে অভিভাবকদের উচ্ছ্বাস এক অন্যমাত্রাতে পৌঁছে যায় উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ঠিক পরেই বারাসাতের দত্তপুকুর এলাকার কাশিমপুর বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ‘মস্তিতে মাতলেন’। তবে পড়ুয়ারা একা নয়, সাথে নাচ করতে দেখা গেল তাদের অভিভাবকদেরও। কিন্তু হঠাৎ এত হই হুল্লোড় কেন? উত্তর দিলেন এক পরীক্ষার্থীর মায়ের থেকে। তিনি বলেন, ‘দিদি আছে যখন সবাই পাশ। আজ থেকে পার্টি হবে, ফুল মস্তি।’
ওই অভিভাবক অবশ্য এইটুকুতেই থেমে থাকেন নি, আরেক ধাপ এগিয়ে তিনি জুড়েছেন, ‘‘আজ পরীক্ষা শেষ আর দেড় মাস পড়তে হবে না। দেড় মাস ধরে চলবে হইহুল্লোড়। এখন থেকেই পার্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। মেয়েদের আলাদা টিম আর আমাদের আলাদা টিম। আমাদের মোট ১২ জন রয়েছে। এখন থেকেই এই পার্টি শুরু হয়ে গেল। ঘোরাফেরা, খাওয়া-দাওয়া এইসব চলবে।’’
ওই অভিভাবক আবার তথাকথিত ভালো পড়ুয়াদের একহাত নিয়ে বলেন, “যারা প্রথম, দ্বিতীয় এসব হয় তারা কারো সঙ্গে মিশতে পারে না। আমাদের ওসব নেই। মেয়েরা পাশ করলেই হবে। চাকরি করতে হবে এর কোন মানে নেই। অন্যান্য বিভিন্ন পথ রয়েছে। এবার পার্টি হবে, পিকনিক হবে, মুভি দেখা হবে, যাকে ফলে ফুল মস্তি।”
দোল হলিতে Jio এর চমৎকার রিচার্জ অফার, মাত্র ১ টাকায় আনলিমিটেড ফ্রি নেট ও কলিং।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জেরে ছাত্রছাত্রীরা তো খুশি বটেই, সাথে অভিভাবকরাও বেশ উচ্ছসিত। তারা প্রায় একপ্রকার ধরেই নিয়েছেন, মাধ্যমিকের সকল পড়ুয়াদেরকে পাশ করানোর দায় নিয়ে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর বলেছিলেন , “পাশ/ ফেল বলে কিছুই নেই। সবাই পাশ।” আর এর পরেই রাজ্যের সর্বত্র বইছে উচ্ছাসের হওয়া এবং শুরু হয়েছে আবির নিয়ে খেলা।
Written by Parna Banerjee.