মিড ডে মিল

অনেকেই হয়তো এই বিষয়ে জেনেছেন যে, স্কুলের মিড ডে মিল সংক্রান্ত অনেক কাজ থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের অব্যহতি মিলতে চলেছে। তবে এক্ষেত্রে হিসেব পত্র কাদের হাতে থাকবে বা এই অর্থের বরাদ্দ কিভাবে হবে – এ সকল বিষয় হয়তো অনেকেরই অজানা। স্কুল গুলিতে মিড ডে মিল তথা PM Poshan প্রকল্প নামেই পরিচিত হয়েছে মধ্যাহ্নকালীন ভোজন। তবে এতদিনের গতানুগতিক নিয়মে বিশেষ বদল আসতে চলেছে খুব শীঘ্রই।

Advertisement

মিড ডে মিল এর ভিজিটে হিসেব কে দেখাবে, স্বনির্ভর গোষ্ঠী (SHG) নাকি প্রধান শিক্ষক!

রাজ্যে এতদিন ধরে বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল পরিচালনা করতেন ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক। তবে অনেক স্কুলেই এই প্রথা মানা হয়েছে যে, স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকেরাও রোটেশন পদ্ধতিতে চালাতেন বাজার করা থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ। এবারে সেই সকল কাজ থেকে অব্যহতি মিলতে চলেছে তাদের। ফলে শিক্ষকেরা বেশি বেশি করেই নিজেদের ক্লাস গুলিতে পঠন পাঠনের দিক থেকে বেশি বেশি করেই নজর দিতে পারবেন।

তবে এবারে যে বিষয়ে জানা খুব দরকারি যে, মাঝে মাঝেই ব্লক অফিস, পঞ্চায়েত থেকে বা সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে যে প্রতিনিধি দল আসে, তাদের কে কারা এই সকল হিসেব নিকেশ দেখাবে? বা এই মিড ডে মিল চালাতে গেলে ডাল, ডিম, আলু, সয়াবিন, তেল, সবজি এর গুণগত সঠিক মান যাচাই করার দায়িত্বে এবারে কারা থাকবেন? রান্নার স্বাদ চেখে দেখার কাজ আগে করতেন শিক্ষক এবং রাঁধুনিরাই। তবে এবার থেকে এই বিশেষ দায়িত্ব এবারে কারা সামলাবেন, সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশিকা জানা যায়নি।

Ads

সম্প্রতি এই নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে এই মিড ডে মিল প্রকল্পটি পাইলট প্রকল্প আকারেই শুরু হবে। আগামী এপ্রিল থেকেই শুরু হবে এই কাজ। পরে সার্বিক ভাবে এই প্রকল্প শুরু করা হলে নিশ্চয়ই তারা সঠিক গাইড লাইন প্রকাশ করে দেবে দপ্তর। সম্প্রতি এই মিড ডে মিল এর কাজ করবে একটি পরিচালন সমিতি। রাজ্যের সমস্ত জেলা শাসকদের কাছেও এই নির্দেশিকা পৌঁছে গেছে। এবারে ঐ নির্দেশ অনুসারে সব কাজ পরিচালিত হবে।

Advertisement

দোল, হলি কাটলেই ভাগ্য খুলছে এদের, দেখুন সাপ্তাহিক রাশিফল।

এরাজ্যে স্কুলের সংখ্যা 84 হাজার। সেই সকল স্কুলের বাচ্চাদের পুষ্টি প্রকল্পের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কেন্দ্রর এই প্রকল্প চলে স্কুল গুলিতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। হিসেবে উঠে আসে যে, সব মিলিয়ে 1.2 কোটি পড়ুয়ার পাতে পৌঁছে যায় এই পৌষ্টিক আহার। এতে পড়ুয়াদের শরীরে পুষ্টির অভাব দূর হবার পাশাপাশি উপস্থিতির সংখ্যাতেও পরিলক্ষিত হয়েছে পরিবর্তন। আগামী 1 লা এপ্রিল তারিখ থেকে রাজ্যের অঙ্গনয়াড়িতে এই নিয়মে কাজ চলতে থাকবে।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারী কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে 37% DA দেওয়ার কথা দিলেন।

রাজ্যের স্কুল গুলিতে চলা এই মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিষয়টি পড়ুয়াদের জন্য খুবই দরকারি। এতে প্রচুর বাচ্চা উপকৃত হচ্ছে। তবে এই প্রকল্প থেকে অনেক আগেই সম্পূর্ণ মুক্তির দাবীতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সংগঠন মাঝে মাঝে নিজেদের অব্যহতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। তবে সরকারি ভাবে নিয়মে পরিবর্তন আনতে চলেছে সরকার। শিক্ষা সংক্রান্ত আরও নতুন নতুন আপডেট পেতে হলে দেখতে থাকুন সুখবর বাংলা। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.

Ads
Advertisement

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *