শিক্ষকদের বেতন বন্ধ নিয়ে কি খবর?
মাসিক বেতন আটকে গিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের। এরপরেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কি কারনে শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ অশিক্ষক কর্মীদের জুন মাসের বেতন শনিবার পর্যন্ত মেলেনি? খোঁজ নিতেই পাওয়া গেল আসল তথ্য। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রশিক্ষণ (Panchayat Election Duty) নেওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফে কোচবিহারের এ বি এন শীল কলেজের ১১০ জন স্থায়ী শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল।
কিন্তু তাদের অধিকাংশই সেই প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট স্থানে অংশগ্রহণ করেননি। এরপরেই জুন মাসের বেতন ১ জুলাই শনিবার পর্যন্ত তারা পাননি। বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশাসনের তরফে তাদের বেতন আটকে দেওয়ার কারণ হিসেবে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বক্তব্য, যেহেতু তারা নির্বাচনের প্রশিক্ষণে প্রথম ধাপে অংশগ্রহণ করেননি তাই বেতন আটকে দেওয়া হয়েছে।
কোচবিহার এ বিএনশীল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ১ জুলাই শনিবার পর্যন্ত কলেজের স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকা অশিক্ষক কর্মীসহ ১১০ জনের বেতন মেলেনি। ভোটের ডিউটির জন্য প্রথম ধাপে এই 110 জন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে কয়েকজনকে প্রশাসনের তরফে প্রশিক্ষণ নিতে বলা হয়েছিল। তাতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করেননি। আর এর পরেই দেখা গেল, জুন মাসের বেতন ১ তারিখে পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের ডিউটির জন্য প্রশিক্ষণ (Election Duty Training) নেওয়ার প্রথম দিনক্ষণ ধার্য করা হলেও তারা উপস্থিত হননি। তারপরে তাদের শোকজ করে অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ নিতে বলা হয়। কিন্তু সেখানেও অনেককেই অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায়। এবি এন শীল কলেজের ৩০ থেকে ৩২ জন কর্মীকে নির্বাচনের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। এরপরেই দেখা গেল জুন মাসের বেতন ১ তারিখ পর্যন্ত ওই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীরা পাননি।
এক্ষেত্রে একটা বিষয় না বললেই নয়। যারা সরকারি চাকরি করেন, নিয়মানুযায়ী নির্বাচনের ডিউটি তাদের করতেই হয়। অসুস্থতা বা অন্য কোনো ধরনের বিশেষ কারণ থাকলে তা সরকারকে জানাতে হয়। তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারি চাকরি করে মাসের শেষে মোটা মাইনে নেন, অথচ সরকারি কাজে অংশগ্রহণ করবেন না, সেটিও যুক্তিসঙ্গত নয়।
জুলাই মাসে কোন কার্ডে কি পরিমান ফ্রি রেশন পাবেন, তালিকা দেখে নিন।
ফলে নির্বাচনের কাজে রাজ্য সরকারি কর্মীদের অংশগ্রহণ করতে হয় এবং সেটা নিয়মের মধ্যেই পড়ে। ফলে নির্বাচনের ডিউটিতে অংশগ্রহণ করাটা রাজ্য সরকারি কর্মীদের কর্তব্য এবং দায়িত্ব বলে মনে করা হয়।