Primary Teacher - 32000 বাতিল প্রাথমিক শিক্ষক

Primary Teacher recruitment scam

পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে তথা Primary Teacher recruitment নিয়ে যে TET মামলা হয়েছে, তাতে ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। আদালতের নির্দেশ ৩ মাসের মধ্যে ফের ইন্টারভিউ নিতে হবে। কিন্তু পর্ষদ এই ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। আর এমতবস্তায় ৩ মাস পেরিয়ে গেলে কি হবে, তাই নিয়ে মহা টেনশনে ২০১৭ সাল ও তার পর নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকেরা। আর এরই মধ্যে আদালতে নয়া তথ্য পেশ নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে। বঞ্চিত প্রার্থীর সংখ্যা কত? নয়া অভিযোগ উঠে এলো।

Advertisement

WBBPE Primary TET Case

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড়োসড় দুর্নীতির আশংকা। এখনও এই মামলার জট কাটেনি। নিত্যনতুন তথ্য সামনে আসছে। এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় 36 হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর ছিল, প্রাথমিক চাকরি বাতিলের সংখ্যা প্রায় 32 হাজার, নির্দেশ সংশোধন করে ফের রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, 2014 সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে 2016 সালে Primary Teacher পদে চাকরি পেয়েছিলেন প্রার্থীরা। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে নির্দেশ আগামী 3 মাসের মধ্যে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেধা তালিকা তৈরি করতে হবে। সেইমতো সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে প্রার্থীদের ব্রেকআপ নম্বর সহ তালিকা। এরপরই নয়া অভিযোগ সামনে এলো প্রার্থীদের একাংশের পক্ষ থেকে। আর তাতেই কার্যত ঘুম উড়েছে বাতিল শিক্ষকদের।

Ads

এর আগে চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের জানান, 2016 সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া এতটাই বেআইনিভাবে সম্পন্ন হয়েছে যে তা বাতিল করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। কে বৈধভাবে পেয়েছে আর কে অবৈধ ভাবে পেয়েছে সেটা খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। তবে সেই প্যানেল লিস্ট থেকে কেবলমাত্র প্রশিক্ষিতদের আলাদা করে দিয়ে তাদের ছাড়পত্র দেওয়ার রায় কার্যত নজিরবিহীন। যারা প্রশিক্ষিত ছিলো তারা কোনও দুর্নীতির আশ্রয় নেয়নি, আর যারা প্রশিক্ষিত ছিলোনা তাঁরাই কেবলমাত্র দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে, তেমন প্রমান কোথাও মেলেনি।

Advertisement

মেধা তালিকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

এবার আদালতের নির্দেশ মেনে বেকআপ নম্বর প্রকাশের পর নয়া অভিযোগ সামনে এলো। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, Primary Teacher চাকরিপ্রার্থীদের তরফে অচিন্ত্য সামন্ত জানান, তারা আগে থেকেই জানতেন, তবে গত 23 মে পর্ষদের তরফে ব্রেকআপ নম্বর প্রকাশ করার পর তাদের কাছে প্রমাণ এসেছে, হিসাব অনুসারে যোগ্য মেধাবী চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা কমপক্ষে 20 হাজার। যে সকল যোগ্য মেধাবী চাকরিপ্রার্থীকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

Advertisement

এর অর্থ কি?

সহজ কোথায় বলা যায়, ধরুন, এই Primary Teacher প্যানেলের ৩২০০০ অপ্রশিক্ষিত চাকরি পেয়েছেন। তাদের ব্রেকাপ নম্বর অর্থাৎ, কোন ক্ষেত্রে কত নম্বর পেয়েছে সেটা আলাদা করলে দেখা যায়, ইন্টারভিউ বা পারসোনালিটি টেস্টের নম্বর বাদ দিলে, যে মেধা তালিকা হয়। তাতে ৩২০০০ এর মধ্যে ২০০০০ শিক্ষক ই পিছিয়ে যাবেন। মামলাকারীদের অভিযোগ, কেবলমাত্র দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে, তাদের পারসোনালিটি টেস্টে বেশি নম্বর দিয়ে তাদের মেরিট লিস্টের আগে তোলা হয়েছে। সকলকে ইন্টারভিউ এর নম্বর বাদ দিলে ২০০০০ শিক্ষক ই চাকরি হারাবেন! যদিও এই তথ্য যাচাই করে দেখেনি শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত।

Ads
click here png 1

তবে এই আশংকা যদি সত্য হয় তবে সেই Primary Teacher এর চাকরি আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। যদিও একথা সত্যি, কেউ রিটেনে ভালো করলেই যে তিনি পারসোনালিটি টেস্টে সুবক্তা বা দক্ষ হবেন, তেমন কোনও যুক্তি নেই। একজন ভালো শিক্ষকের লেখার দক্ষতার চেয়ে তার নিজেকে প্রকাশ করা বা ছাত্রদের বোঝানোর ক্ষমতটাই বেশি জরুরী। আর সেই কারনেই পুরো ১৫০ মার্কস এর লিখিত পরীক্ষাকে মাত্র ৫ ধরা হয়। আর মৌখিক ১০ নম্বর। আর যিনি ইন্টারভিউতে ভালো নম্বর পেয়েছেন তিনিই যে টাকা দিয়েছেন, একথা ভাবাও অযৌক্তিক।

টেট মামলা নিয়ে রায়

চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, 32 হাজার চাকরি বাতিলের মধ্যে যে সকল Primary Teacher রা রয়েছেন, তারা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্যারা টিচার বা পার্শ্ব শিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন। সেই স্কেলেই বেতন পাবেন। তবে উচ্চ বেঞ্চে আপিল করার পর সেই সিদ্ধান্ত স্তগিত করা হয়েছে। বর্তমানে বাতিল শিক্ষকেরাও পূর্ণ বেতন পাবেন।

আরও পড়ুন, রান্নার গ্যাস বুকিং এর নতুন নম্বর, নম্বর জানতে ক্লিক করুন।

সরকারের প্রতিক্রিয়া

অন্যদিকে পর্ষদের তরফে এই শিক্ষকদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, তারা যাতে অবসাদে না ভোগেন। বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াইয়ের ক্ষেত্রে যতদূরে যাওয়া সম্ভব, যাওয়া হবে।
তবে সম্প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের তরফে নয়া অভিযোগ সামনে এলো।

আরও পড়ুন, আবার বাড়লো গরমের ছুটি পশ্চিমবঙ্গে

যা পূর্বেই জানানো হয়েছে। তবে আদালতের দেওয়া ৩ মাস সময়সীমা এর আর বেশি দেরি নেই। এর মধ্যে ইন্টারভিউ বা অন্য কোনও পদক্ষেপ না নিলে আরও বিপদে পড়বেন শিক্ষকেরা। এই বিষয়ে আপনার মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।
Written by Manika Basak.

Advertisement

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *