টেট মামলার রায় – প্রাথমিক শিক্ষকদের ডেটা ও নথি তলব। এবার আর ছাড়াছাড়ি নেই।
Primary TET – টেট মামলায় প্রাথমিক শিক্ষকদের ডেটা চেয়ে পাঠালো দপ্তর।
Primary TET তথা টেট মামলায় শিক্ষকদের বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। জেলা শিক্ষা দপ্তরের তরফে রাজ্যের সমস্ত জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদ, শিলিগুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদ এবং কলকাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদ এর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, সমস্ত বিদ্যালয়েগুলিতে কতজন কর্মরত BEd. (স্পেশাল এডুকেশন) এবং DEd. (স্পেশাল এডুকেশন) ডিগ্রিধারী শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন, যারা এখনো পর্যন্ত ৬ মাসের ব্রীজ কোর্স সম্পন্ন করেননি। এই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিস্তারিত ডেটা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিএড ডিগ্রিধারী শিক্ষকরা আর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (BEd Degree Not Eligible for Primary Recruitment Process) অংশ নিতে পারবেন না। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র ডি এড এবং ডিএল এড ডিগ্রিধারী প্রার্থীরাই অংশগ্রহণ করবেন।
আর তারপরেই দেখা গেল শিক্ষা দপ্তরের তরফে বিভিন্ন জেলায় কতজন BEd (Special Education) এবং DEd (Special Education) ডিগ্রিধারী শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন, তাদের বিস্তারিত ডেটা জেলা শিক্ষা দপ্তরের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সর্বভারতীয় শিক্ষক নিয়ামক সংস্থা তথা NCTE এর নির্দেশিকা অনুযায়ী যে সমস্ত বিএড শিক্ষকেরা এর আগে প্রাথমিকে বা Primary TET দ্বারা শিক্ষক শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের ২ বছর সময়ের মধ্যে ৬ মাসের ব্রিজ কোর্স সম্পূর্ণ করতে হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বহু শিক্ষক শিক্ষিকা সেই ব্রিজ কোর্স করেননি।
আরও পড়ুন, 2022 প্রাইমারী টেট পাশ প্রার্থীদের সুখবর, নিয়োগ শুরু হচ্ছে।
যারা NCTE এর নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষায় এই ৬ মাসের ব্রিজ কোর্স সম্পূর্ণ করেননি, বিভিন্ন জেলা শিক্ষা দপ্তরের তরফে সংশ্লিষ্ট SI বা অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের সেই সমস্ত কর্মরত B.ed (special education) এবং DEd (special education) ডিগ্রিধারী শিক্ষক শিক্ষিকাদের সম্বন্ধে সম্পূর্ণ ডেটা ১৬/৮/২০২৩ তারিখের মধ্যে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে DPSC গুলোর কাছে School Education Department-এর তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, রাজ্যজুড়ে প্রাথমিক স্কুলগুলোতে সঠিক কতজন শিক্ষক-শিক্ষিকা ব্রিজ কোর্স না করে চাকরি করছেন। সেই ব্যাপারে সমস্ত তথ্য তলব করা হয়েছে।
সর্বোপরি লোকসভা ভোটের আগে শিক্ষক নিয়োগ দুরনিতিকে ইস্যু করে ভোটের ময়দানে নামতে চাইছে কেন্দ্র সরকার তথা বিরোধীরা। এদিকে রাজ্য সরকার ও দুর্নীতি দমনে তৎপর হয়েছে। এবার এটাই দেখার আদতে চাকরি প্রার্থীদের চাকরি কবে মেলে। আপডেট পেতে সুখবর বাংলা ফলো করুন।