Primary TET – হাফ ছেড়ে বাঁচলেন বাতিল হওয়া 32 হাজার প্রাথমিক শিক্ষক! সুপ্রিম কোর্টের বড় আপডেট।

প্রাথমিক শিক্ষক তথা Primary TET নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে শুরু করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক মামলা চলছে। দুদিন আগে সুপ্রিম কোর্টে 32 হাজার প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলার তারিখ পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে? চলুন জেনে নিন।

WBBPE Primary TET News New Update in 2024

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ তথা Primary TET নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছিল তা পিছিয়ে গেলো। 32 হাজারের বেশি প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে 32 হাজার শিক্ষকদের একাংশ। গত সোমবার অর্থাৎ 8th জানুয়ারি শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত 12 টি মামলার শুনানি একসঙ্গে হওয়ার কথা ছিল।

তবে Primary TET তথা প্রাথমিক টেটের সেই সবকটি মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আগামী 12th জানুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার এই 12 টি মালার শুনানি হবে। আগামী শুক্রবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের বেঞ্চে এই নিয়োগ মামলার শুনানি হবে। সূত্র মারফত খবর, সুপ্রিম কোর্ট 32 হাজার শিক্ষক নিয়োগের মামলা আবার কলকাতা হাইকোর্টে পাঠিয়ে দিতে পারে।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধরা পড়লো বড় নাম। তোলপাড়

এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মামলাও হাইকোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। একই ভাবে এই সব কটি মামলাও কলকাতা হাইকোর্টে পাঠানো হতে পারে। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে 2014 সালের টেট পরীক্ষার শুনানির পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ পাল্টা মামলা করেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। 2014 সালের টেট পরীক্ষা নিয়ে একাধিক কারচুপির অভিযোগ রয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তথা Primary TET Scam

2014 সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে 2016 সালে যে নিয়োগ হয়েছিল সেখানে অনেক শিক্ষকে ভুয়ো ভাবে নিয়োগ করানো হয় বলে অভিযোগ আনা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মৌটুসী রায় সহ একাধিক বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে। এই মামলা ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির সিঙ্গেল বেঞ্চে। বিচারপতি গাঙ্গুলি এই মামলার শুনানিতে পর্ষদকে শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেয়।

2017 সাল থেকে চাকরি পাওয়া সমস্ত শিক্ষক বিপদে। 10 দিনের মধ্যে লিস্ট জমা করার নির্দেশ।

শুননির পর থেকে 10 দিনের মধ্যে প্যানেলের হার্ড কপি ও সফ্ট কপি হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়ে দেয় আবার 2014 সালের প্যানেল প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কারণ এর আগে পর্ষদ অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্যানেল প্রকাশ করেছে। পুনরায় তা তৈরি করা সম্ভব নয়। যে কারণে বিচারপতি গাঙ্গুলির রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। খুব শীঘ্রই এই মামলার শুনানি হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button