Primary TET Exam – প্রাইমারী টেট পরীক্ষার দিন ঘোষণা। জেনে নিন যোগ্যতা, সিলেবাস, কত পেলে পাশ, বেতন ও পরীক্ষার নিয়ম।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (WBBPE) তরফে আবারও জারি করা হল Primary TET Exam তথা প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষার তারিখ। দেখে নিন কবে পরীক্ষা (Primary TET Exam) ও কারা পারবেন না দিতে। আর কি কি নিয়ম রয়েছে। তার সাথে এই প্রতিবেদনে সিলেবাস, পরীক্ষার নিয়ম, পাশের নম্বর সম্ভাব্য কাট-অফ সমস্ত কিছু জেনে নিন।
WBBPE Primary TETExam Date
পশ্চিমবঙ্গের সকল টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ফের বিরাট সুসংবাদ প্রকাশ করা হলো সরকার কর্তৃপক্ষের তরফে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ঘোষণা অনুযায়ী জানা গেছে রাজ্যে আবারো নাকি আয়োজিত হতে চলেছে প্রাইমারি টেট পরীক্ষা তথা Primary TET Exam. ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষার দিনক্ষণ ইত্যাদি জানানো হয়েছে পর্ষদের পক্ষ থেকে।
এ ব্যাপারে কিছুদিন আগেই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর আগেই পর্ষদের সভাপতি মহাশয় জানিয়েছিলেন যে বছরে দুবার প্রাথমিক টেট পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে এখন থেকে। তবে এবারের পরীক্ষার দিন কিছুটা পিছিয়ে এনে বছরের শেষ করেই ফেলা হয়েছে। তো এবারে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যে কত তারিখে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২০২৩ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষা।
Primary TET Exam Date
প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত স্তরের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা এখনো রাজ্যে তুঙ্গে। দুর্নীতির জাল যতই ভেদ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, ততই আরো নতুন দুর্নীতি জাল তৈরি হচ্ছে। এদিকে গত ২০২২ সালের ১১ই ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদ কর্তৃক গ্রহণ করা হয় টেট পরীক্ষা (Primary TET Exam).
Last Primary TET Result
প্রায় দেড় লক্ষ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয় প্রথম পর্যায়ে লিখিত পরীক্ষায়। কিন্তু সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ পর্ষদের তরফে এখনো স্থগিত রাখা হয়েছে। আসলে গত সাত আট বছর ধরে যে সমস্ত টেট পরীক্ষাগুলি হয়েছে, দুর্নীতির কারণে মামলা চলায় সেগুলিরই তো এখনো নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ শেষ করা হয়নি। তাহলে এই বছরের টেটের নিয়োগ কি করে এখনই সম্পূর্ণ হবে
তাই দুই মিলিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হচ্ছে বর্তমানে। কিন্তু এবারে এই অসন্তুষ্ট পরীক্ষার্থীদের জন্যই পর্ষদ ঘোষণা করে দিল বর্তমান বছরে আবারো অনুষ্ঠিত হবে রাজ্যজুড়ে প্রাইমারি টেট পরীক্ষা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বর মাসেই পরীক্ষার তারিখ ঠিক করা হয়েছে পর্ষদের তরফে।
পর্ষদের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে আগামী ডিসেম্বর মাসের ১০ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে যেকোনো দিন এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হতে পারে। ২০২২ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল তা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হয় বলে জানানো হয়েছিল পর্ষদের রিপোর্টে। কোন দুর্নীতির সম্ভাবনা রাখা হয়নি এই বছরের পরীক্ষায়।
পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল মহাশয় জানিয়েছেন যে ২০২৩ সালে যে টেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তাও ওই একই রকম ভাবে গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ এবারেও থাকছে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা যাতে আর কোন দুর্নীতি না ঘটতে পারে। তার সাথে পর্ষদ এও জানিয়েছে যে পরীক্ষার সিলেবাস, পদ্ধতি ইত্যাদি আগের বছরের মতোই থাকছে। কোনরকম পরিবর্তন আনা হবে না এক্ষেত্রে।
Primary TET Application
সূত্রের খবর, চলতি মাসেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে পর্ষদ। তারপর দুই থেকে তিন মাস এর মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এরপর ডিসেম্বর মাসেই হবে পরীক্ষা।
আরও পড়ুন, পূজোর আগে সবার ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে এই ১০ টি প্রকল্পের টাকা, দেখেনিন আপনি কত টাকা পাবেন
Primary TET Admit card Download
পরীক্ষার ৭ থেকে ১০ দিন আগে আবেদনকারীরা ওয়েবসাইট থেকে নিজেদের অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
Primary TET Exam cut-off
Primary TET পরীক্ষায় পাশের হার বা পাশ নম্বর মূল কথা নয়। প্রতিজোগিতার প্রথম সারীর প্রারথীরাই চাকরি পাবেন। গত Primary TET Exam তে ৮৫ যারা পেয়েছিলেন সকলেই ডাক পেয়েছেন। তবে ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের মামলা চলছে। ৮৩ ৮৪ যারা পেয়েছেন, ক্যাটাগরি হিসাবে অনেকে ডাক পেয়েছেন। তবে এই পরীক্ষায় ৯০ থেকে ১০০ এর মধ্যে কাট-অফ হতে পারে। তাই সকলে ১০০ এর বেশি পাওয়ার প্রস্তুতি নেবেন। জেনারেল প্রার্থীরা ১১০ পেলে ভালো হয়।
আরও পড়ুন, প্রাইমারী টেট মামলা থেকে রেহাই পেলেন এই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা। বেঁচে গেল চাকরি।
Primary Teacher Salary
প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ হলে বেসিক হবে ৬ষ্ঠ বেতন কমিশন এর ২৮৯০০ টাকার লেভেল এ সব কিছু মিলিয়ে ৩২০০০ এর মতো প্রারম্ভিক বেতন হতে পারে। বেসিক এর সাথে ১২% বাড়িভাড়া, ৬% ডিএ ও ৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা পাওয়া যায়। চাকরির ১ বছর পর থেকে কমপক্ষে ১৫০০ টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করতে হয়। এবং ১৫০ টাকা প্রফেসনাল ট্যাক্স হিসাবে।
এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিতভাবে জানতে সুখবর বাংলা ফলো করুন। ও পর্ষদের সাইট ভিজিট করুন।
Written by Nabadip Saha.