শিক্ষক নিয়োগ বা Primary TET

রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিয়োগ বা Primary TET নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিলতা চলে আসছে। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে শুরু করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা। দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা ধর্নায় বসে রয়েছেন। চলছে আন্দোলন, মিছিল। চলছে মামলাও। তবে এতো জটিলতার মাঝে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এবারে কিছুটা স্বস্তি পেল রাজ্যের বহু ডি.ইএল.এড চাকরিপ্রার্থী। পরোক্ষ ভাবে বিএড চাকরিপ্রার্থীরা খেলে বড় ধাক্কা। এবার থেকে আর বি.এড চাকরিপ্রার্থীরা বসতে পারবেন না রাজ্যের টেট পরীক্ষা কিংবা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET) পরীক্ষায়।

WB Primary TET Case D.El.Ed Vs B.Ed

এর কোনো সুযোগই রাখলো না সুপ্রিম কোর্ট। এতদিন সুপ্রিম কোর্টে ডি.ইএল.এড এবং বি.এড চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে যে মামলা চলছিল তার অবসান ঘটলো। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যের Primary TET পরীক্ষা বা প্রাথমিক স্তরে শুধুমাত্র ডিএলএড চাকরিপ্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। 2018 সালে NCT একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছিল, প্রাথমিক স্তরের চাকরির ক্ষেত্রে বিএড প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।

জমা পড়লো 42 হাজার শিক্ষকের তালিকা। ঘোর বিপদ প্রাথমিক শিক্ষকদের?

সে ক্ষেত্রে চাকরি পাওয়ার পর বিএড প্রার্থীদের 6 মাসের একটি ব্রিজ কোর্স করতে হবে। আর এই NCT এর এই নিয়মকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ডি.ইএল.এড চাকরিপ্রার্থীরা। এই মামলার রায়ে জয়ী হলো মামলাকারী ডি.ইএল.এড প্রার্থীরা। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ এবং সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চও এই রায় খারিজ করে দিয়েছিলো। তবে তারপরও এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা চলছিল।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তথা Primary TET Scam

শুধু আমাদের রাজ্য নয়, রাজস্থান থেকে শুরু করে হিমাচল প্রদেশের হাইকোর্টে চলছিল এই ইস্যুতে মামলা। তবে সমস্ত রাজ্যের মামলার ক্ষেত্রে অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় খারিজ করে জানালো, বি.এড প্রার্থীরা কোনো ভাবে প্রাথমিক স্তরের ক্ষেত্রে চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। শুধুমাত্র যারা ডি.ইএল.এড কোর্স সম্পন্ন করবেন, তারাই রাজ্য টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন। অর্থাৎ বিএড প্রার্থীদের জন্য প্রাথমিক স্তরের চাকরির পথ একেবারে বন্ধ হয়ে গেল।

2017 সাল থেকে চাকরি পাওয়া সমস্ত শিক্ষক বিপদে। 10 দিনের মধ্যে লিস্ট জমা করার নির্দেশ।

উল্লেখ্য, টেট পরীক্ষার বা Primary TET ভিত্তিতে 16 হাজরা 500 জন প্রার্থীর নাম মেধা তালিকায় থাকার পর থেকে ডিএলএড-বিএড জল্পনা শুরু হয়। কারণ ডি.ইএল.এড প্রার্থীদের দাবি, তাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এরপরই কিছু ডি.ইএল.এড চাকরিপ্রার্থী আদালতে মামলা করেন। এই মামলার রায়ে জয়ী হলো মামলাকারীরাই। ফলে রাজের Primary TET বা প্রাথমিক স্তরের একাধিক চাকরিপ্রার্থীদের মুখে হাসি ফুটেছে।