Madhyamik Pariksha – শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপর ‘বাড়তি দায়িত্ব’ দিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নিয়ম না মানলে কঠিন শাস্তি।
আর মাত্র কয়েকটি দিন। জানুয়ারি মাস শেষ হলেই ফেব্রুয়ারী। আর ফেব্রুয়ারীর দুই তারিখ থেকে শুরু হবে Madhyamik Pariksha বা মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর পরীক্ষা শুরুর আগে মাধ্যমিক নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে পর্ষদের। এ বছর প্রথম থেকেই মাধ্যমিক নিয়ে বেশ কড়াকড়ি পর্ষদ। পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠ ভাবে হয় সে দিকে বিশেষ জোর দিয়েছে পর্ষদ। সম্প্রতি বাড়তি নজরদাড়ি নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ।
WBBSE Madhyamik Pariksha
বিগত বছরগুলিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা বা Madhyamik Pariksha নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। প্রশ্ন ফাঁস থেকে শুরু করে পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল করা ইত্যাদি বিষয়ে অভিযোগ উঠছে। আর তাই এ বছর প্রথম থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বেশ কড়াকড়ি পর্ষদ। প্রথম থেকে প্রশ্ন ফাঁস রুখতে ও পরীক্ষার্থীরা যাতে নকল করতে না পারে সে বিষয়ে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যে কারণে বাড়ানো হয়েছে বাড়তি নজরদাড়ি।
মাধ্যমিক পরীক্ষা বা Madhyamik Pariksha কেন্দ্র গুলিতে শিক্ষক ঘাটতি মেটাতে বড় সিদ্ধান্ত নিল পর্ষদ। পার্শ্ববর্তী স্কুলগুলি থেকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে নজরদারির দায়িত্বে পাঠানো হবে। এ দায়িত্ব তাদেরকে বাধ্যতামূলক ভাবে পালন করতে হবে। কোনো শিক্ষক-শিক্ষিকা এই দায়িত্ব নেওয়াতে “না” করতে পারবে না। আসলে বিগত বছরগুলিতে যেভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্ন ফাঁস ও নকল করার অভিযোগ উঠেছে, তা ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে পর্ষদ।
মাধ্যমিক পরীক্ষার টেস্ট পেপার বিতরনে জটিলতা! এখনো পেপার পায়নি বহু পরীক্ষার্থী!
পর্ষদের এই নির্দেশিকা মানতে হবে প্রত্যেক শিক্ষক শিক্ষিকাকে। তবে যদি কোনো শিক্ষক শিক্ষিকা পর্ষদের এই নির্দেশিকা না মানে তবে তার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্ষদ জানিয়েছে, এগুলো শিক্ষক শিক্ষিকাদের ডিউটির মধ্যে পড়ে। আর এই ডিউটি পালন না করলে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেবে পর্ষদ। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শকদের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে পর্ষদ।
কিন্তু কেন পাশের স্কুল থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ? একটু বিশ্লেষণ করে দেখলে বিষয়টা স্পষ্ট হয়। একদিকে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা কমিয়েছে। অন্যদিকে এক একটি স্কুলে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। এক একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে যদি 300 থেকে 800 পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয় তাহলে তাদের গার্ড দেবে কারা?
রাজ্যের স্কুলে পাঠানো হচ্ছে চিঠি! হটাৎ এই চিঠির উদ্দেশ্য কি?এটা চাকরি হারানোর ইঙ্গিত না অন্য কিছু?
কারণ নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অনেক ভুয়ো শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়েছে। তাই প্রত্যেক স্কুলেই একটা শিক্ষক সংকট রয়েছে। আর এই শিক্ষক সংকট মেটাতেই পর্ষদ পাশের স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও পরীক্ষা কেন্দ্রে নজরদারির দায়িত্বে রাখা হচ্ছে। আর এই ধরনের বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদের পেজটি ফলো করুন।