Lakshmi Bhandar – লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে দেরি হচ্ছে? এতো বিলম্ব না করে আজই এই কাজ করুন।
লক্ষ্মীর ভান্ডারে ঢুকছে না লক্ষী! আবেদন করেও মেলেনি টাকা। লক্ষ্মীর ভান্ডার তথা Lakshmi Bhandar এর টাকা কবে ঢুকবে এ অপেক্ষায় রয়েছেন রাজ্যের বহু মহিলা। কিন্তু স্পষ্ট কোনো উত্তর নেই রাজ্য সরকারের কাছে। আদেও মিলবে তো? এ নিয়েও কিছুটা অনিশ্চিত রাজ্যের মহিলারা। এদিকে লোকসভা ভোটের আগে মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার না পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। লক্ষ্মীর ভান্ডার বা Lakshmi Bhandar রাজ্য সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি।
West Bengal Lakshmi Bhandar Scheme
প্রতি মাসে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে 500/1000 টাকা করে পাওয়া যায়। অর্থাৎ বছরে 6000/12000 টাকা। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বার গদিতে বসার পিছনে এই লক্ষ্মীর ভান্ডার তথা Lakshmi Bhandar এর অবদান কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ। সে সময় লক্ষ্মীর ভান্ডারকেই ভোটের অস্ত্র করেছিল তৃণমূল সরকার। তবে সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী, অনেকেই লক্ষী ভান্ডার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। আবেদন করলেও ব্যাংকে আসেনি টাকা।
গত সেপ্টেম্বরের দুয়ারের সরকারের শিবির থেকে যারা দুয়ারে সরকার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন তাদেরকে কারো টাকা এখনো আসেনি ব্যাংকে। টাকা না ঢোকায় মেদিনীপুরে কালেক্টটর অফিসে পৌঁছে গেলেন এক পঞ্চান্ন বছরের মহিলা। আধিকারিককে জিজ্ঞাসা বললেন, ‘‘একা থাকি। টাকাটা পেলে খুব কাজে লাগত।
জানুয়ারী থেকে বদলে গেল পেনশন পাওয়ার নিয়ম! সুবিধা হলো কর্মচারী,
আধিকারিক ওই মহিলাকে আশ্বাসও দিলেন এই বলে যে, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে!’’ তবে এই অভিযোগ তো শুধু ওই মহিলার একার নয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বহু মহিলা যারা গত সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বরে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার বা Lakshmi Bhandar প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন তারা কেউই এখনো টাকা পায়নি।
পরিসংখ্যান বলছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গত দুটি দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকে 10 হাজার মহিলা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেপ্টেম্বরে যারা আবেদন করেছিল, তাদেরকে সেপ্টেম্বর থেকেই পরিষেবা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে তা হয়নি। প্রসঙ্গত, প্রতি মাসের শুরুতেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বা Lakshmi Bhandar এর টাকা ব্যাংকে ঢুকে যায়।
বছরের শুরুতেই যোগ্যশ্রী প্রকল্প চালু করলন মুখ্যমন্ত্রী! কারা কারা আবেদন যোগ্য জেনে নিন।
কিন্ত এতো বিলম্ব কেন? এ বিষয়ে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘শুনেছি শীঘ্রই এই প্রকল্পে অর্থ বিতরণ হতে পারে।’’ এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সদস্য তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য বর্তমানে লক্ষ্মীছাড়া! লক্ষ্মীর ভান্ডারের অর্থ সঙ্কুলান কোথা থেকে হবে!’’ তবে সেপ্টেম্বরে যারা আবেদন করেছিল, কবে তাদের টাকা ঢুকবে তার উত্তর অস্পষ্ট। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।