Caste Certificate – বাতিল হচ্ছে কয়েক লক্ষ SC ST OBC কাস্ট সার্টিফিকেট। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ।
রাজ্যের নাগরিকদের সমস্ত ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র (Caste Certificate) বাতিলের নির্দেশ দিল নবান্ন, আপনার নামও নেই তো তালিকায়? জেনে নিন কাদের কাস্ট সার্টিফিকেট বাতিল হচ্ছে। আপনার টা যাচাই করবেন কিকরে?
West Bengal SC ST OBC Caste Certificate online
রাজ্যের নাগরিকদের বিরুদ্ধে এবার Caste Certificate নিয়ে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হলো এখনো পর্যন্ত যে সকল নাগরিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভুয়ো এবং বেআইনি শংসাপত্র জমা দিয়েছেন তা সকল বাতিল করা হবে। বিভিন্ন ধরনের সরকারি কাজে অনেকেই নানা ধরনের ভুয়ো শংসাপত্র জমা দিয়ে অনেক সময়ে দুর্নীতির চেষ্টা করেইয়
এবার থেকে এই কুকর্ম আর চলবে না বলে জানালো রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে বাতিল করা হতে চলেছে পূর্বের সমস্ত বেআইনি কাগজপত্র (Caste Certificate) যা এখনো পর্যন্ত জমা পড়েছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন মহলে। এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে রাজ্য প্রশাসন মারফত। কিন্তু কাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হতে চলেছে এই পদক্ষেপ? আপনার নাম মিলল না তো তালিকায়? দেখে নিন ঝটপট।
কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে সম্পন্ন হয় ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর ফলাফল প্রকাশিত হবার পর থেকেই বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে এই পঞ্চায়েত ভোটের রেজাল্ট নিয়ে। সেখানে এই বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে রাজ্যের অনেক জনগণ নাকি এই ভোটে ভুয়ো শংসাপত্র জমা করেছিল। তবে তদন্ত চালিয়ে দেখা গেছে এরা বেশির ভাগই ছিল তফশীল জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের লোক (Caste Certificate). অর্থাৎ তপশীল না হয়েও ভুয়ো Caste Certificate বানিয়ে সেই নথি জমা দেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
যাই হোক, এই নিয়ে অনেক ঝামেলা ঝঞ্জাট চলে রাজ্যে। এমনকি কোর্টেও দায়ের হয় মামলা। সেই সঙ্গে গ্ৰেফতার করা হয় তিনজন উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকদের যারা এই কেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এরপরই রাজ্য সরকারের কানে পৌঁছায় এই খবর। সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্সনের নোটিশ দেওয়া হয় ওই তিন আধিকারিক এর বিরুদ্ধে।
এরপর ১৬ ই আগস্ট তারিখে রাজ্য সরকার সমস্ত জেলার এস ডি ও আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দেয় ভালোভাবে সকল নাগরিকদের জমা পড়া Caste Certificate শংসাপত্র গুলিকে যাচাই করে যাদের নাম সেই সমস্ত তফসিল জাতিভুক্ত জনগণের সঙ্গে মিলছে তাদের কাগজগুলিকে পৃথক করে রাখার। ২৮শে আগস্ট তারিখের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা করার কথা বলা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত জেলার জেলা শাসকদের।
গত ৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে সেই সমস্ত বেআইনি শংসাপত্র বাতিল করার নির্দেশও দেয় রাজ্য সরকার তাদেরকে। রাজ্য সরকারের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব সেই সকল নাগরিকদের খুঁজে বের করতে এবং তার সঙ্গে আরো যারা যারা এই দুর্নীতি চক্রে যুক্ত আছেন তাদেরকেও টেনে বের করে এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করতে।
আরও পড়ুন, রান্নার গ্যাস 400 টাকায়। কেন্দ্রের দাম কমানোর পর, গ্যাসের দামে বিরাট ছাড় দিলো এই রাজ্য সরকার।
সূত্র মারফত খবর পাওয়া গেছে, রাজ্যের সমস্ত জেলাগুলি মিলিয়ে প্রায় ৪১ হাজার এরকম দুর্নীতির ঘটনার নিদর্শন পাওয়া গেছে তদন্ত মারফত। কোর্টে মামলা দাখিল হবার পর এখনো পর্যন্ত শুনানির নোটিশ দেওয়া হয়েছে মোট ১০ হাজার কেসের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সরকারি মহল কর্তৃক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মোট আইনি এবং বৈধ শংসাপত্র পাওয়া গেছে ৮৬৬ টি এবং ভুয়ো ও বেআইনি শংসাপত্রের সংখ্যা ৩২৫টি।
আরও পড়ুন, লটারি কাটার সঠিক নিয়ম শিখে, লটারি জেতার গোপন সুত্র জেনে নিন।
যার মধ্যে এখনো পর্যন্ত রাজ্য প্রশাসনের তরফে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে ১৬০ টি শংসাপত্র কে। আগামী দিনে এইরকম দুর্নীতি যাতে আর কোনো ক্ষেত্রেই ঘটতে না পারে সেজন্যও সুরক্ষা ব্যবস্থা আরো কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর এই মুহুর্তে কোনও রকম দুর্নীতি বরদাস্ত করতে চাইছে না রাজ্য।
Written by Nabadip Saha.